সংক্ষিপ্ত

হিন্দু শাস্ত্রমতে সন্ধক লবণ বা সাধারণ নুন দিয়ে পরিবারের অমঙ্গল দূর করা যায়। আর বাড়িতে আনা যায় লক্ষ্মীদেবীকে।

 

বেশি কিছু করতে হবে না। শুধুমাত্র নুন দিয়েই পরিবারে শান্তি আর সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে পারেন। একই সঙ্গে দূর করতে পারেন আপনার বাড়িতে থাকা অশুভ বা নেতিবাচক শক্তিকে। হিন্দু শাস্ত্র নুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও প্রাচীন কালে নুনের প্রচলন ছিল না। সেই সময় সন্ধক লবণ বা খনিজ লবণের ব্যবহার হত। যাইহোক হিন্দু শাস্ত্রমতে সন্ধক লবণ বা সাধারণ নুন দিয়ে পরিবারের অমঙ্গল দূর করা যায়। আর বাড়িতে আনা যায় লক্ষ্মীদেবীকে।

নুনের টোটকা-

হিন্দু শাস্ত্র মতে বাড়িতে যদি অর্থিক সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই এই কাজটি করতে পারেন। একটি কাচের পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গের সঙ্গে এক চামচ নুন মিশিয়ে রেখে দিন। বাড়ির উত্তর দিকে কোনও কোনে রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে পাত্রটি সচারচর কারও নজরে না পড়ে। তবে সপ্তাহের যে কোনও একদিন পাত্রটি ধুয়ে নতুন করে নুন আর লবঙ্গ দিতে হবে। তাহলে পরিবারের আর্থিক সংকট দূর হবে। পরিবারে সুখ আর শান্তি বিরাজ করবে।

নুনের টোটকায় দূর হয় বাস্তু দোষ। বাড়িতে যে বাথরুম বেশি ব্যবহার হয় সেখানেই অশুভ শক্তি বেশি প্রকট হয়। তাই সেই বাছরুমে অবশ্যই নুন রাখতে পারেন। একটি পাত্রে করে এক চামচ নুন রেখে দিন। সেই নুনের পাত্র সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করে তাতে আবার নতুন করে নুন রাখুন। তাতে বাস্তু দোষ দূর হয়ে যাবে বলেও বিশ্বাস করে জ্যোতিষীরা।

স্থানের জলে এক টুকরো সন্ধক লবণ মিশিয়ে দিন। এই প্রক্রিয়া কমপক্ষে ২১ দিন চালু রাখতে হবে। হিন্দুশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় নুন জলে স্নান করলে যে কোনও মানুষের শরীরে থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়। রোগভোগ অনেকটা কমে যাবে। পাশাপাশি কাজে বাধা দূর হবে

বাড়িতে যদি নিত্য অশান্তি দূর করার জন্য সন্ধক লবণ মিশিয়ে নিয়মিত ঘর মুছুন তাতে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। সপ্তাহে কমপক্ষে একবার এটি করতে হবে।

আপনি নিয়মিত সন্ধক লবণের দিয়া বা প্রদীপ জ্বালতে পারেন। তবে বাতিটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তবেই নেগেটিভ শক্তি দূর হবে।