সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিভিন্ন ধাতু এবং রত্ন দিয়ে তৈরি আংটি আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। জ্যোতিষশাস্ত্রে নয়টি গ্রহের সাথে এই ধাতু এবং রত্নগুলির সম্পর্ক বলা হয়েছে।
জীবনে আরাম-আয়েশের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিই কঠোর পরিশ্রম করে, কিন্তু অনেক সময় আমাদের দ্বারা করা কঠোর পরিশ্রম আমাদের ফল দেয় না। অনেক সময় আমরা অনুভব করি যে আমাদের ভাগ্য আমাদের সমর্থন করছে না। রূপোর আংটি আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিভিন্ন ধাতু এবং রত্ন দিয়ে তৈরি আংটি আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। জ্যোতিষশাস্ত্রে নয়টি গ্রহের সাথে এই ধাতু এবং রত্নগুলির সম্পর্ক বলা হয়েছে। রূপার আংটিও এই গুরুত্বপূর্ণ ধাতুগুলির মধ্যে একটি। তাহলে জেনে নিন রূপোর আংটি পরার উপকারিতা।
রূপোর আংটি শুক্র এবং চাঁদের সাথে সম্পর্কিত
সোনা-রূপোর অলঙ্কার নারীদের সৌন্দর্য বাড়ায়। জ্যোতিষশাস্ত্র বিশ্বাস করে যে সোনা এবং রূপো দিয়ে তৈরি এই অলঙ্কারগুলিও রাশিফলের গ্রহ এবং নক্ষত্রকে প্রভাবিত করে। সোনা বৃহস্পতি গ্রহের সাথে সম্পর্কিত। তাই রূপোকে শুক্র ও চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুসারে, রূপো ভগবান শিবের চোখ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, তাই যেখানেই রূপা আছে সেখানেই ধন, বৈভব এবং সমৃদ্ধি আসে। এ ছাড়া কিছু রাশি আছে, যাদের রূপোর আংটি পরলে খুব উপকার হয়।
এইভাবে একটি রূপোর আংটি পরুন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রূপোর আংটি পরতে হলে এটি জয়েন্ট ছাড়াই তৈরি করা উচিত। বুড়ো আঙুলে রূপোর আংটি পরা যেতে পারে। মহিলাদের জন্য এটি বাম হাতে এবং পুরুষদের জন্য ডান হাতে পরা শুভ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রূপোর আংটি চাঁদের ফ্যাক্টর। এটি পরলে রাশিতে সূর্য ও শনির অবস্থান শক্তিশালী হয়। এর সাথে ভাগ্যও মজবুত হয়।
এ ছাড়া রূপোর আংটি পরলে রাহু গ্রহের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মন শান্ত থাকে। কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য রূপোর আংটি পরা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। বৃষ ও তুলা রাশির জাতকরাও রূপোর আংটি পরতে পারেন। এ ছাড়া মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা ভুল করেও রূপোর আংটি পরা উচিত নয়।
রূপোর আংটি পরার উপকারিতা
শুক্র এবং চন্দ্র উভয়ই রূপোর আংটি পরলে শুভ ফল দেয়। মন ও মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে আসে, সেই সঙ্গে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বাত, কফ ও পিত্তের মতো সমস্যার ভারসাম্য শরীরে থাকে। হাতে রূপোর আংটি পরতে না পারলে। তাই রূপোর চেইনও পরা যেতে পারে। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।