সংক্ষিপ্ত
বাংলায় অন্যতম বিখ্যাত ও জাগ্রত কালী তিনি। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন ও ভিড় করেন শুধুমাত্র বড়মাকে একঝলক দেখার জন্য।
বড়মার পুজো সর্বজনবিদিত। কথিত আছে, মা কাউকে কখনও খালি হাতে ফেরান না। তাই প্রতিবছরই কালীপুজোয় অগণিত মানুষ ভক্তিভরে বড়মার পুজো দেন ও পুষ্পাঞ্জলি দেন। বাংলায় অন্যতম বিখ্যাত ও জাগ্রত কালী তিনি। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন ও ভিড় করেন শুধুমাত্র বড়মাকে একঝলক দেখার জন্য।
কালী পুজোর সকাল থেকেই অগণিত ভক্তপ্রাণ মানুষ মনোবাসনা পূরণ করার জন্য গঙ্গাস্নান করে বড়মার প্যান্ডেলে দণ্ডি কাটেন। বড়মায়ের গায়ে গয়না দেখলে যে কোনো মানুষকেই অবাক হতে হবে। জানা যায়, পুজোর দিন ১০০ কেজির সোনা ও ২০০ কেজি রুপোর গহনা পরানো হয় মাকে। থাকে কড়া নিরাপত্তা। জনশ্রুতি আছে, ভক্তরাই মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোনা ও রুপোর গয়না মানত হিসেবে দিয়ে থাকেন বড়মাকে। বলা বাঞ্চনীয় যে, তিনি নিজের ইচ্ছায় ভক্তদের কাছ থেকে নিয়ে নেন সে সমস্ত গয়না। কারণ, কথাতেই আছে, “সকলি তোমারই ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি।”
পুজো কমিটির তরফে জানা গেছে, কালী পুজোতে অর্থাৎ ৩১ তারিখ রাত ১১টার সময় মায়ের পুজো শুরু হবে। রাত একটা নাগাদ শুরু হবে পুষ্পাঞ্জলি আর, পুজোর পরে হবে প্রসাদ বিতরণ। এবছর ভোগ প্রসাদ বিতরণের ক্ষেত্রে পুজো কমিটি কিছু নতুনত্ব এনেছে। তারা জানিয়েছে , এবার ৪০০০ কিলো ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার নৈহাটির মহেন্দ্র স্কুল ও পৌরসভার সামনে থেকে প্রসাদের কুপন বিলি করা হবে। মূলত ভিড় সামলানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগে পুজোস্থল থেকই সন্দেশ ভোগ বিতরণ করা হতো।
পুজো কমিটির থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গেছে, কালীপুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পুজো নেওয়া শুরু হয়ে যায়। জানা গেছে, আগামীকাল অর্থাৎ ২৪ শে অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বড়মার মন্দিরে মানতের পুজো নেওয়া, যা চলবে ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ৩০ ও ৩১ তারিখ নেওয়া হবে ফলপ্রসাদ ও সন্দেশের পুজো।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।