সংক্ষিপ্ত
জানেন কী কালী পুজোয় আমরা কোন কালীর আরাধনা করে থাকি? বা দক্ষিণা কালী ও শ্যামা কালীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। অনেকেই আমরা মায়ের পুজো করলেও, সেভাবে এই তথ্যগুলো জানি না। এই প্রতিবেদনে রইল তারই হদিশ।
আর হাতে গোনা কয়েকদিন পরেই বাংলা মেতে উঠবে মা কালীর আরাধনায়। শক্তির পুজো আর আতশবাজির রোশনাই বাংলা সাজবে নতুন কনের মতো। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই কালীপুজো খুবই ধুমধাম করে পালন করা হয়। তবে এই কালীকে দীপান্বিতা কালী নামেই বলা হয়ে থাকে। তবে জানেন কী কালী পুজোয় আমরা কোন কালীর আরাধনা করে থাকি? বা দক্ষিণা কালী ও শ্যামা কালীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। অনেকেই আমরা মায়ের পুজো করলেও, সেভাবে এই তথ্যগুলো জানি না। এই প্রতিবেদনে রইল তারই হদিশ।
বাংলার বিভিন্ন স্থানে মা কালী কোথাও শ্মশান কালী, কোথাও ডাকাত কালী আবার কোথাও শ্যামা মা হিসেবেই পরিচিত। যে কোনও পুজো ঘিরেই বহু পৌরাণিক বা লৌকিক গল্প প্রচলিত থাকে। তেমনই পৌরাণিক গল্প রয়েছে কালীকে ঘিরেও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মা কালীর স্বপ্ন আদেশ পাওয়ার পরই পুজো শুরু হয় পূজা । তবে আদ্যাপীঠ হোক কিংবা ত্রিপুরেশ্বরী সকলে পুজো পান কালী হিসেবেই। যদিও বেশিরভাগ মন্দিরেই যে কালীমূর্তি আমরা দেখি তা কিন্তু দক্ষিণাকালীর।
দক্ষিণা কালী
দক্ষিণা কালীর ডান পা শিবের বুকে থাকে । তিনি কালীর অন্যান্য রূপ থেকে ভিন্ন এবং তাকে ঘর এবং মন্দিরে পূজা করা হয়। দক্ষিণাকালী করালবদনা, ঘোরা, মুক্তকেশী, চতুর্ভূজা এবং মুণ্ডমালাবিভূষিতা। তার বামকরযুগলে সদ্যছিন্ন নরমুণ্ড ও খড়্গ; দক্ষিণকরযুগলে বর ও অভয় মুদ্রা। তার গাত্রবর্ণ গভীর নীল, তিনি দিগম্বরী। তার গলায় মুণ্ডমালার হার, কানে দুই শবরূপী কর্ণাবতংস, কটিদেশে নরহস্তের কটিবাস। তার দন্ত উজ্জ্বল শ্বেতবর্ণ, তিনি ত্রিনয়নী এবং মহাদেব শিবের বুকে দণ্ডায়মান। দক্ষিণা কালীর তৃতীয় চক্ষুর নিচে সূর্য, চন্দ্র এবং অগ্নির প্রতীক দেখা যায় এবং এটি প্রকৃতির চালিকা শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে যে কালীর পুজো করা হয় তিনি দক্ষিণা কালী। কালীঘাট, তারাপীঠে যে কালীর পুজো হয় মূলত তাঁরাও দক্ষিণা কালী হিসেবেই পুজো পান।
কালীপুজোর আগে আমরা দুরকম কালীমূর্তি দেখতে পাই। একজনের গাত্রবর্ণ কালো, অন্যজনের তুঁতে। মূলত কালো ও নীলের মাঝে যে কালীর গাত্রবর্ণ তা শ্যামাকালী নামে পরিচিত। এই মূর্তি তুলনায় অনেক কম দেখা যায়। দশমহাবিদ্যার অন্যতম এই দেবীর ভয়ঙ্করী রূপটিকে খানিকটা নরম করে দেখাতেই হয়তো এক সময় তাঁর গাত্রবর্ণ নীল রঙের দেখানোর প্রচলন শুরু হয়েছিল, সাহিত্য এবং শ্যামাসঙ্গীতেও তাঁর শ্যামা রূপটির উল্লেখ মেলে।
শ্যামা কালী
পঞ্চমুণ্ডির আসনে পুজো হলেও কোনও বলি হয় না। পুরোপুরি বৈষ্ণব মতেই পুজো হয়। এই কালীকে ঘরের মেয়ে হিসেবেই পুজো করা হয়। অন্যদিকে দক্ষিণাকালী পুজো পান মা রূপেই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে