সংক্ষিপ্ত
যখন ৫০ বা ১০০ একটি সংখ্যা হিসাবে দেওয়া হয়, তখন এই সংখ্যাটিকে কয়েকটি সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়। ৫১ বা ১০১ এর মত ১ টাকা যোগ করলে এই সংখ্যাটি অবিভক্ত হয়ে যায়।
হিন্দু ধর্মে বিবাহ, মুন্ডন, জন্মদিন ইত্যাদির মতো শুভ অনুষ্ঠানের সময় শগুন হিসাবে কিছু বা অন্য উপহার দেওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। কিছু লোক, যারা কোনও কারণে উপহার আনতে পারে না, তারা নগদ অর্থও দেয়। শগুন হিসেবে নগদ টাকা দেওয়ার সময় খামে ৫১ বা ১০১ টাকার মতো এক টাকার কয়েন অতিরিক্ত রাখা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন শগুন হিসেবে দেওয়া নগদে এক টাকা অতিরিক্ত রাখা হয়।
তাই শগুনের টাকায় অতিরিক্ত ১ টাকা রাখা হয়েছে।
যখন ৫০ বা ১০০ একটি সংখ্যা হিসাবে দেওয়া হয়, তখন এই সংখ্যাটিকে কয়েকটি সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়। ৫১ বা ১০১ এর মত ১ টাকা যোগ করলে এই সংখ্যাটি অবিভক্ত হয়ে যায়। এর মনস্তাত্ত্বিক দিক হলো, শগুনে দেওয়া টাকার মতো আমাদের সম্পর্ক চিরকাল থাকবে, ভাগ করা উচিত নয়।
এছাড়াও একটি কারণ
৫০ বা ১০০ টাকার শেষ অঙ্কটি শূন্য যা সমাপ্তির সূচক। যদি এর সাথে ১ টাকা যোগ করা হয়, তাহলে এটি ৫১ এবং ১০১ হয়, যা সংহতি ও শুভ সূচনার প্রতীক। মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনা হল সম্পর্কের মধ্যে সর্বদা ঐক্য থাকা উচিত, এতে কোনও শূন্যতার জায়গা থাকা উচিত নয়। এক টাকা যদি অতিরিক্ত যোগ করা না হয়, তবে তা শূণ্যতার পরিচয় বহন করে, যা একটা সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুভ বলে মনে করা হয় না। অন্যদিকে, সেই টাকার অঙ্কে এক যোগ করলে, তা সূচনা বলে ধরা হয়, যা নতুন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মধুরতা ডেকে আনে বলে বিশ্বাস।
মনে করা হয় যে এই অতিরিক্ত এক টাকাটি ঋণ। যাকে দেওয়া হচ্ছে, এটি তার কাছে ঋণ স্বরূপ, যা পুনরায় দেখা করার ইঙ্গিত বহন করে। ধারাবাহিকতার প্রতীক এই এক টাকার কয়েন। উপহারদাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক মজবুত হয় এর ফলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এর অর্থ হল, ‘আবার দেখা হবে’।
শগুনও এক ধরনের বিনিয়োগ
যখনই আমাদের পরিচিত বা আত্মীয়দের মধ্যে কোন শুভ উপলক্ষ আসে, তখন আমাদের শক্তি অনুসারে, আমরা অশুভ আকারে তাদের উপহার বা নগদ অর্থ দিয়ে থাকি। যখন আমাদের পরিবারে কোনো শুভ অনুষ্ঠান থাকে, তখন এই উপহার এবং নগদ আমাদের কাছে কিছুটা বর্ধিত পরিমাণে ফেরত দেওয়া হয়। এভাবে শগুনও এক ধরনের বিনিয়োগ।