সংক্ষিপ্ত
কালীপুজোর দিন রাতে কৃষ্ণপক্ষের ১৪তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন হল ভূত চতুর্দশী। এই দিন প্রদীপ জ্বালানো হয় ঘরে ঘরে। এই দিনটি যম চতুর্দশী নামেও পরিচিত।
আর কদিন পরেই আলোর উৎসব। ধনতেরাস, দিওয়ালি, কালীপুজো, ভাইফোঁটা রয়েছে পর পর উৎস। এই সময় ছোটি দিওয়ালি ও ভূত চতুর্দশী-ও পালিত হয়। কালী পুজোর আগের দিন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। কালীপুজোর দিন রাতে কৃষ্ণপক্ষের ১৪তম দিন অর্থাৎ অমাবস্যার আগের দিন হল ভূত চতুর্দশী। এই দিন প্রদীপ জ্বালানো হয় ঘরে ঘরে। এই দিনটি যম চতুর্দশী নামেও পরিচিত।
যম চতুর্দশী নিয়ে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। কথিত আছে এক সময় যম ও যমদূতের কথোপকথন হচ্ছিল। সে সময় যমরাজ যমদূতকে প্রশ্ন করেন, পৃথিবীলোকে মানুষের প্রাণ হরণ কালে কখনও তাঁরা আবেগের বশবর্তী হয়েছেন কি না। সে সময় এক যমদূত যমরাজকে এক কাহিনি বলেন। অতীতে হেম নামে এক রাজা ছিল। রানি সুন্দর পুত্র সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর জ্যোতিষীর গণনা করেন। জানতে পারেন, বিবাহের চার দিন পর রাজকুমারের মৃত্যু হবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী শোনার পর রাজা রাজকুমারকে যমুনা তীরের একটি গুহায় ব্রক্ষ্মচারী হিসেবে লালন করতে শুরু করেন। যথা সময়ের যুবক হন রাজকুমার। একদিন যমুনা তীরে মহারাজ হংসের কন্যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হন ও গন্ধর্ব বিবাহ করেন। বিয়ের ৪ দিন পর স্বামীর রাজকুমারের মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুতে শোকার্ত রাজকুমারী আক্ষেপ শুরু করেন। যমদূত যমরাজকে জানান, সেই নারীর কান্না শুনে তাঁর হৃদয় কেঁদে উঠেছিল। তা সত্ত্বেও তিনি নিজের কর্তব্য সম্পন্ন করে।
যমরাজ জানান, নরক চতুর্দশীর দীপদান করলে অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না। বিশ্বাসী মানুষজন যম চতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশীর দিন যম দীপ জ্বালান। এতে অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন
Kali Puja: শ্যামাকালী, রক্ষণাকালী ও দক্ষিণাকালী- রইল মায়ের তিন রূপের মহিমার কথা
সোনা পরলে কি সৌভাগ্য আসে? ভাগ্য খোলে? জেনে নিন সোনার গয়না পরার সঠিক উপায়