হনুমান অষ্টমী ২০২৫: প্রতি বছর পৌষ মাসে হনুমান অষ্টমীর উৎসব পালিত হয়। এইবার এই উৎসব ১২ই ডিসেম্বর, শুক্রবার পালিত হবে। এই দিনে হনুমানজির বিশেষ পূজা করা উচিত, যা আপনার সমস্ত সমস্যা দূর করতে পারে।
হনুমান অষ্টমী ২০২৫-এর বিবরণ: পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি অত্যন্ত বিশেষ কারণ এই দিনে হনুমান অষ্টমীর উৎসব পালিত হয়। যদিও এই উৎসব সারা দেশে খুব ধুমধাম করে পালিত হয়, তবে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী ও ইন্দোর সহ এর আশেপাশের অঞ্চলে এর মাহাত্ম্য অনেক বেশি। এইবার হনুমান অষ্টমীর উৎসব ১২ই ডিসেম্বর, শুক্রবার পালিত হবে। এই দিনে হনুমানজির বিশেষ পূজা করা উচিত। এমনটা করলে তাঁর কৃপা আমাদের উপর বজায় থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক হনুমান অষ্টমীর পূজা পদ্ধতি, মন্ত্র এবং মুহূর্তের বিবরণ…
হনুমান অষ্টমী ২০২৫ শুভ মুহূর্ত
সকাল ০৭:০২ থেকে ০৮:২২ পর্যন্ত
সকাল ০৮:২২ থেকে ০৯:৪১ পর্যন্ত
দুপুর ১১:৫৯ থেকে ১২:৪১ পর্যন্ত (অভিজিৎ মুহূর্ত)
দুপুর ১২:২০ থেকে ০১:৩৯ পর্যন্ত
সন্ধ্যা ০৪:১৮ থেকে ০৫:৩৮ পর্যন্ত
হনুমান অষ্টমী পূজা পদ্ধতি
- ১২ই ডিসেম্বর, শুক্রবার সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পূজার সংকল্প নিন। ব্রত রাখতে চাইলে তারও সংকল্প নিন। সারাদিন ব্রতের নিয়ম পালন করুন, অর্থাৎ কারও উপর রাগ করবেন না, মনে খারাপ চিন্তা আনবেন না।
- পূজা শুরু করার আগে সমস্ত সামগ্রী এক জায়গায় সংগ্রহ করুন। উপরে উল্লিখিত যেকোনো শুভ মুহূর্তে পূজা শুরু করুন। প্রথমে বাড়ির একটি পরিষ্কার জায়গায় কাঠের চৌকিতে লাল কাপড় বিছিয়ে হনুমানজির ছবি স্থাপন করুন।
- ছবিতে কুমকুম দিয়ে তিলক লাগান, ফুলের মালা পরান। পাশেই শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এরপর একে একে আবির, গুলাল, সিঁদুর, চাল, পৈতে, ফুল, পান ইত্যাদি জিনিস হনুমানজিকে অর্পণ করতে থাকুন।
- পূজা করার সময় মনে মনে 'ওঁ হং হনুমতে নমঃ' মন্ত্র জপ করতে থাকুন। এরপর হনুমানজিকে আপনার ইচ্ছানুযায়ী ভোগ নিবেদন করুন। খেয়াল রাখবেন এই ভোগ যেন বাড়িতে শুদ্ধভাবে তৈরি হয় বা কোনো ফলের ভোগ নিবেদন করুন।
- এইভাবে পূজা করার পর হনুমানজির বিধি-বিধান মেনে আরতি করুন। সন্ধ্যায় চন্দ্রোদয়ের পর খাবার খেয়ে আপনার ব্রত সম্পূর্ণ করতে পারেন। এতে আপনার জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বজায় থাকবে।
হনুমানজির আরতি (Hanuman Aarti Lyrics in Bengali)
আরতি কিজে হনুমান ললা কী। দুষ্ট দলন রঘুনাথ কলা কী ॥
জাকে বল সে গিরিবর কাঁপে। রোগ-দোষ জাকে নিকট ন ঝাঁকে ॥
অঞ্জনি পুত্র মহা বলদায়ী। সন্তন কে প্রভু সদা সহায়ি ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী ॥
দে বীরা রঘুনাথ পঠাএ। লঙ্কা জারি সিয়া সুধি লায়ে ॥
লঙ্কা সো কোট সমুদ্র সি খাই। জাত পবনসুত বার ন লাই ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী॥
লঙ্কা জারি অসুর সংহারে। সিয়ারাম জি কে কাজ সঁواره ॥
লক্ষ্মণ মূর্ছিত পড়ে সকারে। লায়ে সঞ্জীবন প্রাণ উবারে ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী ॥
পৈঠি পাতাল তোরি জম্কারে। অহিরাবণ কী ভূজা উখারে ॥
বায়ীঁ ভূজা অসুর দল মারে। দাহিনে ভূজা সন্তজন তারে ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী ॥
সুর-নর-মুনি জন আরতি উতারें। জয় জয় জয় হনুমান উচারें ॥
কঞ্চন থার কপূর লও ছাই। আরতি করত অঞ্জনা মাই ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী ॥
জো হনুমানজি কী আরতি গাবে। বসহিঁ বৈকুণ্ঠ পরম পদ পাবে ॥
লঙ্ক বিধ্বংস কিয়ে রঘুরাঈ। তুলসীদাস স্বামী কীর্তি গাঈ ॥
আরতি কিজে হনুমান ললা কী। দুষ্ট দলন রঘুনাথ কলা কী ॥
Disclaimer
এই আর্টিকেলে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা ধর্মীয় গ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র এই তথ্য আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে শুধুমাত্র তথ্য হিসাবেই গণ্য করুন।


