- Home
- Religion
- Puja Vrat
- ইচ্ছেপূরণ হয়, মনের মত সঙ্গী জুটতে পারে! শিবরাত্রিতে কীভাবে মহাদেবের আরাধনা করতে হবে
ইচ্ছেপূরণ হয়, মনের মত সঙ্গী জুটতে পারে! শিবরাত্রিতে কীভাবে মহাদেবের আরাধনা করতে হবে
সমস্যা অনুযায়ী শিবরাত্রিতে অভিষেকের উপাদান বেছে নিতে পারেন, তবে মনে রাখবেন ভাল ফল পেতে হলে লাগাতার এই কাজ করুন ভগবানকে তুষ্ট করতে। অনেকেই বলে থাকেন কোন মন্দিরে গিয়ে কমপক্ষে তিন মাস অভিষেক করলে সুফল প্রাপ্তির যোগ থাকে।

আমাদের মনের ইচ্ছা সকলের এক নয়। একেক জন একেক মনোবাসনা নিয়ে ঈশ্বরের পুজো করেন। অনেকেই মনে করেন, জীবনের সমস্যা বা কোন মনের বাসনা পূরণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকার জরুরি।
শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, শিবরাত্রির দিনে কিছু নিয়ম মেনে দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করলে স্বয়ং শিবঠাকুর ভক্তের মনোবাসনা পূরণ করেন।
অনেকেই বলে থাকেন, শিবরাত্রি হল দেবী মহাদেব ও পার্বতীর বিয়ের পূণ্য তিথি। এই তিথিতে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর আরাধনা নিষ্ঠাভাবে করলে মনের অজ্ঞতা এবং অন্ধকার দূর হয়।
মহাদেবের আশীর্বাদে পূরণ হয় মনস্কামনা। দেবাদিদেব মহাদেব খুব অল্পে তুষ্ট হন শিব। কথায় বলে, মহাদেব খুশি হন ভক্তিভরে সামান্য বেলপাতা নিবেদন করলেই।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বিভিন্ন প্রতিকারের বিধান আছে বলে মনে করেন বহু জ্যোতিষী। সঙ্গে এটাও ঠিক দেবদেবীর পুজো করেও প্রতিকার বা জীবনে সমস্যার সমাধান মেলে।
তেমনই মহাশিবরাত্রিতে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর কাছে নিষ্ঠাভাবে আরাধনা করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন, শিবরাত্রিতে শিবের পুজো করলে কোন অবিবাহিত নারী মনের মতো স্বামী পেয়ে যান।
অনেক জ্যোতিষী বা শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, মহাশিবরাত্রিতে শিবঠাকুরের অভিষেক করার মধ্য দিয়ে ভক্তের মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
অভিষেক আসলে কী?
এই বিষয়ে বহু পুরোহিত বলে থাকেন, সঠিক মন্ত্র উচ্চারণ করা সম্ভব না হলে বা না জানলেও চলবে। শুধু মহাদেবের নাম নিয়ে শিবলিঙ্গে তরল নৈবেদ্য দ্বারা স্নান করানোই হল দেবাদিদেব মহাদেবের অভিষেক করা।
বিভিন্ন উপাদানে দেবাদিদেব মহাদেবের অভিষেক করার ফলে ভিন্ন ফল প্রাপ্তি হয় ভক্তের:
দীর্ঘ, সুস্থ জীবনপ্রাপ্তির জন্য দুধ দিয়ে মহাদেবের অভিষেক করা হয় । দুধ অভিষেকেই একজন ভক্ত দীর্ঘ জীবনলাভ করতে পারে ।
মধু দিয়ে অভিষেক করলে দুঃখ এবং জটিল সমস্যা নিবারণ হয় । অনেকেই বিশ্বাস করেন, দুঃখ এবং সমস্যা নাশ হয় মধু অভিষেকের মাধ্যমে ।
রোগ এবং অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণ মেলে ঘি দিয়ে অভিষেক করলে ।
পঞ্চমৃতম অভিষেকে (পাকা কলা, গুড়, মিছরি, বীজহীন খেজুর, মধু) ধনসম্পদ প্রাপ্তি হয় বলেই মনে করেন বহু পুরোহিতেরা।
সন্তানের মঙ্গল কামনায় দই দিয়ে অভিষেক করা শ্রেয়। সন্তানের মঙ্গল হয় দই অভিষেক করলে। দই অভিষেকেই সন্তানের শুভফল প্রাপ্তি হয়।
চন্দন দিয়ে অভিষেক করলে দুর্ভাগ্য নিবারণ হয়। ভাগ্যের উন্নতি হয় চন্দন অভিষেকের মাধ্যমে ।
সমস্যা অনুযায়ী শিবরাত্রিতে অভিষেকের উপাদান বেছে নিতে পারেন, তবে মনে রাখবেন ভাল ফল পেতে হলে লাগাতার এই কাজ করুন ভগবানকে তুষ্ট করতে। অনেকেই বলে থাকেন কোন মন্দিরে গিয়ে কমপক্ষে তিন মাস অভিষেক করলে সুফল প্রাপ্তির যোগ থাকে।
এসবই নানা মতামত থেকে নেওয়া। এর কোন মতামত এশিয়ানেট নিউজ বাংলার নিজস্ব নয়। তাই আরও বিশদ জানার জন্য অবশ্যই কোন বিশেষজ্ঞের মতামত নেবেন।