কার্তিক পূর্ণিমা ২০২৫ বুধবার, ৫ নভেম্বর পালিত হবে। পূর্ণিমা তিথি ৪ নভেম্বর রাত ১০:৩৬ থেকে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬:৪৮ পর্যন্ত থাকবে। এই দিনে গঙ্গা স্নান, দীপদান এবং দান-পুণ্যের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পূজা করলে পাপ থেকে মুক্তি…
কার্তিক পূর্ণিমা ২০২৫-এর তারিখ: হিন্দু ধর্মে কার্তিক পূর্ণিমাকে অত্যন্ত शुभ ও পবিত্র দিন হিসেবে माना হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে পবিত্র স্নান, দান এবং ভগবানের পূজা করলে পাপ থেকে মুক্তি মেলে এবং सुख-समृद्धि লাভ হয়। এই দিনেই দেব দীপাবলিও পালিত হয়। কথিত আছে যে, কার্তিক পূর্ণিমার রাতে দেবতারা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণু (লক্ষ্মী-নারায়ণ) এবং মহাদেবের-এর বিশেষ পূজা করা হয়। প্রদীপ জ্বালানোরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তি, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি আসে।
কার্তিক পূর্ণিমা ২০২৫-এর বিধি
উদয় তিথি অনুসারে, কার্তিক পূর্ণিমা বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫-এ পালিত হবে। পূর্ণিমা তিথি ৪ নভেম্বর ২০২৫ রাত ১০:৩৬ থেকে শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮ পর্যন্ত থাকবে। গঙ্গা স্নান এবং দানের শুভ মুহুর্ত সূর্যোদয় (সকাল ৪:৫২) থেকে সকাল ৫:৪৪ পর্যন্ত। এই শুভ সময়ে দীপদান, তুলসী পুজো, গঙ্গা স্নান এবং অভাবীদের দান করলে পূণ্য লাভ হয়। এরপর, সকালের পূজার শুভ মুহুর্ত সকাল ৭:৫৮ থেকে শুরু হয়ে ২০ মিনিট ধরে, সকাল ৯:২০-এ শেষ হবে। প্রদোষ কালে সন্ধ্যা পূজার শুভ মুহুর্ত সন্ধ্যা ৫:১৫ থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ পর্যন্ত থাকবে।
কার্তিক পূর্ণিমার মহত্ব
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে স্নানের বিশেষ মহত্ব রয়েছে। এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে পাপ নাশ হয়। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে গঙ্গা স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয় এবং জীবনের কষ্ট দূর হয়। তাই স্নানের পর ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর বিশেষ পূজা করা হয়। স্নানের পর দান করলে সমৃদ্ধি আসে।
স্নানের পর সূর্য দেবকে জল অর্পণ করুন
সবার প্রথমে, সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান করুন। সম্ভব হলে গঙ্গা বা অন্য কোনো পবিত্র নদীতে স্নান করুন। স্নানের পর সূর্য দেবকে জল (অর্ঘ্য) অর্পণ করুন এবং তাঁর আশীর্বাদ নিন। এরপর, পূজার জায়গায় একটি পিঁড়িতে হলুদ কাপড় বিছিয়ে দিন। তার উপর ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন। মূর্তিকে গঙ্গা জল বা স্বচ্ছ জল দিয়ে শুদ্ধ করুন। এবার, ফুল, মালা, চাল, হলুদ, কুমকুম এবং অক্ষত অর্পণ করুন। প্রদীপ জ্বালিয়ে ধূপকাঠি দিয়ে ভগবানের আরতি করুন। বিষ্ণু চালিশা বা লক্ষ্মী চালিশা পাঠ করুন। "ওম নম নারায়ণায়" বা "ওম লক্ষ্মীয়ে নম" মন্ত্র জপ করা খুব শুদ্ধ বলে মনে করা হয়।
কার্তিক পূর্ণিমায় দান করা অত্যন্ত শুভ
কার্তিক পূর্ণিমায় দান করা অত্যন্ত শুভ এবং পুণ্যময় বলে বিবেচিত হয়। এই দিনে স্নান ও পূজার পর দান করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি আসে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, "দানম তপো ধর্মঃ সর্বেষম", অর্থাৎ দান করা সর্বশ্রেষ্ঠ পুণ্য। এই দিনে করা দান বহুবিধ ফল দেয় এবং ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করে। এই দিনে আপনি খাদ্য, বস্ত্র, মিষ্টি, অভাবীদের খাদ্য, প্রদীপ, তেল বা ঘি, তুলসী গাছ এবং ধাতু বা মাটির পাত্র দান করতে পারেন। করতে পারেন।
এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যগুলি শাস্ত্র, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা আপনাকে এই তথ্য পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম মাত্র। পাঠকদের এই তথ্যটিকে কেবল তথ্য হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।


