- Home
- Religion
- Puja Vrat
- নারীর মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ চাণক্য নীতিতে! জানেন কী বলে গিয়েছেন তিনি?
নারীর মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ চাণক্য নীতিতে! জানেন কী বলে গিয়েছেন তিনি?
নারীর বিষয়ে চাণক্য নীতি: আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিগুলোতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কথা বলেছেন। এই আর্টিকেলে, নারীর মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে চাণক্য কী বলেছেন, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
)
আচার্য চাণক্য ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন উগ্র আত্মমর্যাদাপূর্ণ, কঠোর রাজনৈতিক নীতিগুলোর প্রবর্তক। অর্থনীতিবিদ চাণক্য রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি সামাজিক পরিস্থিতি নিয়েও অনেক কথা বলেছেন। চাণক্য তাঁর নীতিগুলোতে সমাজের সকল স্তরের মানুষ, জাতি, স্বাস্থ্য, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের ইতিহাস বলে, চাণক্য কীভাবে শত্রুদের দমন করেছিলেন। এই যুদ্ধ/সংগ্রামের কৌশলগুলোই চাণক্য নীতি নামে পরিচিত। ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষে বিশ্বাস না থাকলে জন্ম-মৃত্যুর চক্রে ঘুরপাক খেতে হয়। জীবনযাপন, পূজার নিয়ম, ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন এবং নারীদের সম্পর্কে চাণক্য অনেক তথ্য দিয়েছেন। এই আর্টিকেলে নারীর মাসিক ঋতুস্রাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নারীদের নিয়ে চাণক্যের শ্লোক
ভস্মনা শুধ্যতে কাংস্যং তাম্র মলৈন শুধ্যতি!
রজসা শুধ্যতে নারী নদী বেতেন শুধ্যতি!
শ্লোকের অর্থ
আচার্য চাণক্য এই শ্লোকের মাধ্যমে কে কীভাবে শুদ্ধ হয়, তা বলেছেন। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ এই শ্লোকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। পাত্র ছাই দিয়ে, তামা লেবু দিয়ে, নারী মাসিক ঋতুস্রাবের মাধ্যমে এবং নদী তার গতি দিয়ে শুদ্ধ হয়।
আগেকার দিনে চুলার ছাই দিয়ে বাসন মাজা হতো। ছাই দিয়ে বাসন শুদ্ধ হয়। তামার বাসন পরিষ্কার করতে টক (তেঁতুল বা লেবু) ব্যবহার করা হয়। নদী দূষিত হলে বৃষ্টি হয়ে দ্রুত বেগে প্রবাহিত হলে তা নিজে থেকেই শুদ্ধ হয়ে যায়। তেমনই নারীরা মাসিক ঋতুস্রাবের মাধ্যমে শুদ্ধ হন।
মাসিক ঋতুস্রাবের মাধ্যমে নারীর শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের হয়ে যায়। তাই সবকিছুর শুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে। কথা আছে, গুরুর গোলাম না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মেলে না। তেমনই মৃত্যুর আগে পুণ্যস্থানে যেতে হয়। গঙ্গা স্নান, তুঙ্গা পান - এই কথা এখানে প্রযোজ্য।
দ্রুত বেগে প্রবাহিত নদীতে কোনো ময়লা থাকে না। প্রথম জল সব ময়লা নিজের সঙ্গে নিয়ে চলে যায়। বহমান জল সবসময় পরিষ্কার থাকে। এই জল পান করার যোগ্যও হয়। শোনা যায়, হিমালয় থেকে আসা গঙ্গা নদীর জলে কোনো ব্যাকটেরিয়া থাকে না। কুম্ভমেলার সময় কোটি কোটি মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন। যেহেতু এটা বহমান জল, তাই নদী নিজেকে শুদ্ধ করে নেয়।
হিন্দু পুরাণ ও চাণক্য নীতিতে কীভাবে পুণ্য অর্জন করতে হয়, তা বলা হয়েছে। ভালো কথা বলা, দান করা, সত্য বলা, সৎসঙ্গে থাকা, ব্যবসায় প্রতারণা না করা, বিশ্বাস অর্জন করা - এরকম অনেক বিষয় বলা হয়েছে। বিশেষ দিনে নদীতে পুণ্যস্নান করার কথাও বলা হয়। হিন্দুশাস্ত্রে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের পর ঘর ধুয়ে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।