সংক্ষিপ্ত

 
টোকিও অলিম্পিকে নামার আগেও ইতিহাস পরেও ইতিহাস গড়েছেন তিনি। সোমবার, সোশ্য়াল মিডিয়াতেই ২৭ তলোয়ারবাজ-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক মিস্টি আড্ডা হয়ে গেল। 

টোকিও অলিম্পিকে নামার আগেই ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে আরও এক ইতিহাস তৈরি করেছেন প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে অলিম্পিক ফেনসিং বা তলোয়ারবাজিতে যোগ্যতা অর্জনকারী ভবানী দেবী। সোমবার, সোশ্য়াল মিডিয়াতেই চেন্নাই-এর এই ২৭ বছরের তলোয়ারবাজ-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক মিস্টি বার্তালাপ হয়ে গেল। নরেন্দ্র মোদী ভবানী দেবীকে বললেন অনুপ্রেরণা। আর ভবানী দেবী তাঁর জবাবে জানালেন নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়। 

এদিন অলিম্পিকে প্রথম ম্যাচে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিউনিসিয়ার নাদিয়া বেন আজিজি। তাঁকে ভবানী দেবী দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ১৫-৩ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ফলে ভারতীয় তলোরায়বাজ হিসাবে তিনিই প্রথম কোনও অলিম্পিক ম্যাচ জিতলেন। পরের রাউন্ডেই অবশ্য তার সামনে বাধা ঠিল দারুণ কঠিন। বিশ্বের তিন নম্বর তথা রিও অলিম্পিকের সেমিফাইনালিস্ট ফান্সের ম্যানন ব্রুনেট-এর চ্যালেঞ্জটা তাঁর পক্ষে বড্ড বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে ভারতীয় তলোরায়বাজ ৭-১৫ পয়েন্টে হেরে যান। 

পরাজয়ের পর তাঁর অলিম্পিক যাত্রার কয়েকটি ছবি টুইট করেন, সঙ্গে লেখেন, দারুণ উত্তেজনার মধ্য দিয়ে তাঁর জীাবনের এই বড় দিনটি কেটেছে। নাদিয়া আজিজি-কে হারিয়ে ভারতীয় ফেন্সার হিসাবে ইতিহাস গড়লেও পরের ম্যাচে বিশ্বের ৩ নম্বর খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন। সেরাটা দিয়েও জিততে না পারার কারণে দেশের কাছে দু: খ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। 

তাঁর এই টুইটটি কোট করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাল্টা টুইট করে বলেন, 'আপনি আপনার সেরাটা দিয়েছিলেন এবং এটাই আসল বিষয়। জয়-পরাজয় জীবনেরই অঙ্গ। আপনার অবদান নিয়ে ভারত দারুণ গর্বিত। আপনি আমাদের দেশবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা।' 

প্রধানমন্ত্রীর এই টুইটের জবাব দেন ভবানী দেবী। ভারতীয় তলোয়ারবাজ বলেন, 'যখন আপনার অনুপ্রেরণা-আইকন আপনাকেই অনুপ্রেরণা বলে, তার চেয়ে ভাল দিন আর কী হতে পারে? আপনার কথা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে নরেন্দ্র মোদীজি। ম্যাচ হারার পরেও আপনি  আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আপনার এই ব্যবহার ও নেতৃত্ব আমাকে ভারতের জন্য আসন্ন ম্যাচগুলিতে কঠোর পরিশ্রম করার এবং জেতার জন্য উত্সাহ ও আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। জয় হিন্দ।'