সংক্ষিপ্ত

ম্যাচ জেতার জন্য সব দলই নানাভাবে চেষ্টা করে। কিন্তু অনৈতিক উপায়ে কোনও দল ম্যাচ জেতার চেষ্টা করলে বিতর্ক তৈরি হয়। দলীপ ট্রফি সেমি-ফাইনালে সেই বিতর্কই তৈরি হল।

৩ বল করতে সময় লাগল ৪ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। কোনও ক্রিকেটার চোট পাননি, কোনও দর্শক বা পশু-পাখি মাঠে ঢুকে পড়ে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটায়নি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও ম্যাচ বন্ধ হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও মাত্র ৩ বল করতে এত সময় লাগল। এই অভূতপূর্ব ঘটনা দেখা গিয়েছে দলীপ ট্রফি সেমি-ফাইনালে। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দলীপ ট্রফি সেমি-ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরাঞ্চল। শনিবার সেই ম্যাচের শেষ দিন বোলিং করার সময় অস্বাভাবিক সময় নেন উত্তরাঞ্চলের এক বোলার। দক্ষিণাঞ্চলের জয় আটকানোই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। উত্তরাঞ্চলের ক্রিকেটাররা চাইছিলেন বৃষ্টি ও কম আলোর জন্য ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাক। সেক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ফাইনালে পৌঁছে যেত উত্তরাঞ্চলই। কিন্তু শেষপর্যন্ত জয়ন্ত যাদব, বৈভব অরোরা, প্রভসিমরণ সিং, পুলকিত নারাংদের এই কৌশল কাজে লাগেনি। ২ উইকেটে জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল দক্ষিণাঞ্চল।

এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় উত্তরাঞ্চল। সর্বাধিক ৪৯ রান করেন প্রভসিমরণ। ৩৩ রান করেন অঙ্কিত কুমার। ৩১ রান করেন হর্ষিত রানা। ২৭ রান করেন নিশান্ত সিন্ধু। ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন বৈভব অরোরা। ধ্রুব শোরে করেন ১১ রান। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বিধওয়াত কাবেরাপ্পা। ৫২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কে ভি শশীকান্ত। ১ উইকেট করে নেন বিশাক বিজয় কুমার, রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর ও ওয়াশিংটন সুন্দর। 

এরপর প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। সর্বাধিক ৭৬ রান করেন ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল। দ্বিতীয় সর্বাধিক ৪৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের টি-২০ দলে সুযোগ পাওয়া তিলক ভার্মা। ২১ রান করেন সাই কিশোর। ওয়াশিংটন করেন ১২ রান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অধিনায়ক জয়ন্ত। ৫৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বৈভব। ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বলতেজ সিং। ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হর্ষিত।

দ্বিতীয় ইনিংসে ২১১ রান করে উত্তরাঞ্চল। সর্বাধিক ৬৩ রান করেন প্রভসিমরণ। ২৯ রান করেন অঙ্কিত কলসি। ২৬ রান করেন অঙ্কিত কুমার। ১৯ রান করেন ওপেনার প্রশান্ত চোপড়া। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ৭৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বিজয় কুমার। ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাই কিশোর। ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কাবেরাপ্পা। 

 জয়ের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের টার্গেট ছিল ২১৫। ৮ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় দক্ষিণাঞ্চল। ৫৪ রান করেন ময়ঙ্ক। ৪৩ রান করেন হনুমা। ৩৪ রান করেন রিকি ভুই। তিলক করেন ২৫ রান। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৮৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হর্ষিত। ৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বলতেজ। ৪৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বৈভব। ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জয়ন্ত।

আরও পড়ুন-

MS Dhoni: পোষ্য সারমেয়দের সঙ্গে কেক কাটলেন ধোনি, উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা

থাকছেন না বিরাট-রোহিত, এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সারির দলই পাঠাচ্ছে বিসিসিআই

জল্পনার অবসান, জন্মদিনে শিক্ষা সংক্রান্ত অ্যাপ চালুর ঘোষণা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের