সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন রবীন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব। ভারতের বোলারদের দাপটে বড় স্কোর করতে পারল না বাংলাদেশ।
ভারতের মাটিতে ভারতীয় দলকে হারানো সবসময় কঠিন। তার উপর অধিনায়ক শাকিব আল-হাসানকে ছাড়া খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ফলে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। এদিনের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও, চাপ কাটাতে পারল না বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান (৪৩ বলে ৫১) ও লিটন দাস (৮২ বলে ৬৬) ইনিংসের শুরুটা ভালো করলেও, তারপর মাহমুদুল্লাহ ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই বড় স্কোর করতে পারলেন না। ফলে ভারতীয় দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারল না বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৫৬।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা মন্থর গতিতে করেন লিটন ও তানজিদ। তবে কয়েক ওভার পরেই বড় শট খেলতে শুরু করেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৯৩ রান। তানজিদের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি। লিটন ৭টি বাউন্ডারি মারেন। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ রান করেই ফিরে যান শান্ত। ৩ রান করেই আউট হয়ে যান মেহিদি হাসান মিরাজ। তাওহিদ হৃদয় করেন ১৬ রান। অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম করেন ৩৮ রান। শেষদিকে লড়াই করেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন। ৩টি করে বাউন্ডারি, ওভার-বাউন্ডারি মারেন মাহমুদুল্লাহ। শাকিবের পরিবর্তে খেলতে নামা নাসুম আহমেদ করেন ১৪ রান। ৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের হয়ে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা। ৬০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ৫৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ৪৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব।
এদিন ৩ বল করার পরেই পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর পরিবর্তে ওভার শেষ করেন বিরাট কোহলি। তিনি ৩ বল করে ২ রান দেন। প্রায় ৬ বছর পর ওডিআই ফর্ম্যাটে বোলিং করলেন বিরাট।
এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ বলেই মনে হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ২৫৭ রান করতে ভারতের ব্যাটারদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই ম্যাচ জিতলে সেমি-ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাবে ভারত।
আরও পড়ুন-
Virat Kohli: হার্দিক পান্ডিয়ার চোট, ৬ বছর পর ওডিআই ফর্ম্যাটে বোলিং বিরাট কোহলির