সংক্ষিপ্ত

মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার হলেন বাংলার তিতাস সাধু। ভারতকে মহিলা ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতাতে বড় অবদান রাখলেন তিতাস।

বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট। অসাধারণ বোলিং বললেও কম বলা হয়। বাংলার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার তিতাস সাধু এত ঠান্ডা মাথায় কীভাবে খেললেন! মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাসই ম্যাচের সেরা হলেন। ভারতকে প্রথমবার মহিলা ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করলেন তিতাস। দলকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর তিতাস বলেছেন, ‘ আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমরা এই দিনটার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমরা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে খেলতে নেমেছিলাম। সেই পরিকল্পনা কার্যকর করতে পেরেছি। স্পিনাররা খুব ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আমরা পচেস্ট্রমের এই মাঠে এর আগে ২ ম্যাচ খেলেছিলাম। এই মাঠে অন্য ম্যাচের কী ফল হয়েছে সেটাও আমরা দেখেছি। কোন জায়গায় বল রাখতে হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা ছিল। আমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

ভারতের অধিনায়ক শেফালি বলেছেন, 'মেয়েরা যেভাবে খেলেছে এবং একে অপরের পাশে থেকেছে সেটা দেখে আমি খুব খুশি। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে অবিশ্বাস্য অনুভূতি হচ্ছে। সাপোর্ট স্টাফদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা যেভাবে প্রতিদিন আমাদের পাশে থেকেছেন এবং বারবার বলেছেন আমরা এখানে কাপ জিততেই এসেছি সেটা খুব কাজে লেগেছে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই জায়গায়। তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। খেলোয়াড়রা সবসময় আমাকে সাহায্য করেছে। আমাকে এই সুন্দর দল দেওয়ার জন্য বিসিসিআই-কে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বকাপ জিতে আমি সত্যিই খুব খুশি।'

সতীর্থদের প্রশংসা করে ভারতের অধিনায়ক বলেছেন, ‘শ্বেতা সেহরাওয়াত অসাধারণ ফর্মে আছে। ও সব পরিকল্পনা কার্যকর করেছে। শুধু ও না, অর্চনা দেবী, সৌম্যা তিওয়ারি-সহ সবাই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। সবার নাম করতে পারছি না। সবাই খুব ভালো খেলেছে বলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’

বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটার রিচা ঘোষ বলেছেন, ‘অসাধারণ অনুভূতি হচ্ছে। আমি গত ৩ বছর ধরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার অপেক্ষায় ছিলাম। এটাই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে আমার খেলার শেষ সুযোগ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিতলাম, খুব ভালো লাগছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সবাই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলছিল। ওদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটালাম। এই জয় থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেলাম সেটা সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলার সময়ও কাজে লাগবে। আমরা এবার সিনিয়র বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। আরা যদি পরপর ২টি বিশ্বকাপ জিততে পারি, তাহলে সেই জয় অসাধারণ হবে। তবে আমরা আপাতত প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই।’

আরও পড়ুন-

অসাধারণ বোলিং বাংলার তিতাসের, মহিলা ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

সচিনও ৬ বার খেলে তবে বিশ্বকাপ জিতেছেন, রোহিত-বিরাটের পাশে দাঁড়ালেন অশ্বিন

আগামী মাসে নতুন চুক্তি ঘোষণা করবে বিসিসিআই, বাদ পড়তে পারেন এই তারকা