সংক্ষিপ্ত
৯ ফেব্রুয়ারি শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ। তার আগে ভারতীয় দলের দুর্বলতা খুঁজে পেলেন প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্য়াপেল। তিনি এই সিরিজে এগিয়ে রাখছেন অস্ট্রেলিয়াকে।
আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে প্যাট কামিন্সদেরই এগিয়ে রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ও ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। তাঁর বক্তব্য, ‘এই সিরিজ জিততে পারে অস্ট্রেলিয়া। দেশের মাটিতে অনেকদিন ভারতীয় দলকে এতটা দুর্বল মনে হয়নি। ঋষভ পন্থ, জসপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজার মতো ক্রিকেটারদের চোট ভারতীয় দলকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে। বিরাট কোহলির উপর অনেকটা নির্ভর করবে ভারতীয় দল। ভারত সফরে বিদেশি দলগুলিকে অনেক সময় বোকা বানানো হয়। যে ম্যাচ দেখে মনে হয় কোনও ফল হবে না, হঠাৎ সেই ম্যাচের গতি বদলে যায়। ভারতীয় দল এই ধরনের খেলায় অভ্যস্ত। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ব্যাটিং, বোলিং ও মানসিকতায় এর সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’ জাদেজা চোট সারিয়ে ফিট হয়ে উঠেছেন। তিনি ভারতীয় দলের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। ফলে টেস্ট সিরিজে খেলতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। শুবমান গিল, রোহিত শর্মারাও আছেন। ফলে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলকে গ্রেগ যতটা দুর্বল মনে করছেন ততটা নাও হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে গ্রেগ আরও লিখেছেন, 'এই সিরিজের সব ম্যাচেই পিচ থেকে স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারে। সেই কারণে আমার মনে হয় অ্যাশটন আগরকে খেলানো উচিত। ফিঙ্গার স্পিন সবসময়ই যথার্থ বলে মনে হয়। টেস্ট ম্যাচে অনিল কুম্বলের উইকেট সংখ্যা ৬১৯। ওর অস্ত্র ছিল দ্রুতগতিতে ফ্ল্যাট লেগ ব্রেক। ও সবসময় স্টাম্পে বল রাখত। ব্যাটাররা জানত, ওরা যদি কোনও বল খেলতে না পারে তাহলেই বিপদ। জাদেজাও একইভাবে বোলিং করে। আগরকে ওদের মতোই বোলিং করতে হবে। টানটান লড়াইয়ের মধ্যে যদি কোনও একজন বোলার বেশি রান দিয়ে ফেলে তাহলে সেটাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।'
ভারতের কোচ থাকার সুবাদে এদেশের সব মাঠ ও পিচের চরিত্রের সঙ্গে পরিচিত গ্রেগ। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি বলেছেন, ‘টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে নতুন বলে উইকেট নিতে হবে। বল পুরনো হয়ে গেলে বেশি রান দেওয়া চলবে না এবং রিভার্স স্যুইং আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ভারতের পিচে স্পিন বোলিং অনেক বেশি কার্যকর। স্পিনাররা দলের বড় অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমাদের দলে সেরা ৪ পেসার ও ক্যামেরন গ্রিনকে রাখতে হবে। আমি ভারতে অনেক টেস্ট ম্যাচ দেখেছি। শারীরিক দক্ষতা যেমন প্রয়োজন, তেমনই মানসিক লড়াইও করতে হয়। ভারতের পরিবেশ-পরিস্থিতিতে যেভাবে খেলা উচিত ঠিক সেভাবেই খেলতে হবে। ভারতে টেস্ট সিরিজ জিততে হলে উজ্জীবিত মানসিকতা, পরিকল্পনা, ধৈর্য ও লড়াইয়ে টিকে থাকার মানসিকতা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন-
মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারতের ভরসা হারলিন
ভারতের পিচে টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা অপ্রাসঙ্গিক, দাবি স্টিভ স্মিথের
অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন বাঙালি কন্যার সাফল্যে খুশির জোয়ার পরিবারে