সংক্ষিপ্ত
নাগপুরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। এই হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে প্যাট কামিন্সের দল। দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলে রদবদল করা হচ্ছে।
দিল্লিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের আগে বাঁ হাতি স্পিনার ম্যাথু কনেম্যানকে ডেকে পাঠাল অস্ট্রেলিয়া। লেগস্পিনার মিচেল স্বেপসনের পরিবর্ত হিসেবে কনেম্যানকে তলব করল অস্ট্রেলিয়া শিবির। নাগপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি স্বেপসন। এবার তাঁর সন্তানের জন্ম হতে চলেছে। সেই কারণে দেশে ফিরে যাচ্ছেন এই স্পিনার। তাঁর পরিবর্তেই দলে নেওয়া হল কনেম্যানকে। এখনও পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই স্পিনার। ২০২২-এর জুনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওডিআই ফর্ম্যাটে অভিষেক হয় কনেম্যানের। তিনি ৪টি ওডিআই ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নিয়েছেন। দিল্লিতে কনেম্যানের টেস্ট অভিষেক হবে কি না সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। প্রথম টেস্ট ম্যাচে দুই স্পিনার নিয়ে খেলে অস্ট্রেলিয়া। অভিষেক টেস্টেই ৭ উইকেট নিয়েছেন টড মারফি। তবে অভিজ্ঞ অফস্পিনার নাথান লিয়ন বিশেষ সাফল্য পাননি। ৪৯ ওভার বোলিং করে তিনি মাত্র ১ উইকেট নেন। সেই কারণেই দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের আগে স্পিন বিভাগকে শক্তিশালী করতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া দল।
চোটের জন্য প্রথম টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারেননি পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। ফিটনেসের সমস্য়ায় খেলতে পারেননি অলরাউন্ডার ক্য়ামেরন গ্রিনও। স্টার্ক ও গ্রিন ফিট হয়ে উঠলে দিল্লি টেস্টে খেলতে পারেন। তবে হ্যাজেলউড খেলবেন কি না সেটা এখনও জানা যায়নি। নাগপুরে খেলানো হয়নি বাঁ হাতি স্পিনার অ্যাশটন আগরকে। নাগপুরে মারফি যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তারপর তাঁকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠেছে না। অভিজ্ঞ স্পিনার লিয়নকেও হয়তো ফের সুযোগ দেওয়া হবে। তৃতীয় স্পিনার খেলানো হলে সুযোগ পেতে পারেন কনেম্যান বা আগর।
তবে বোলিং বিভাগের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিভাগ নিয়েও চিন্তা করতে হচ্ছে। নাগপুরে দুই ইনিংসেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ইনিংসে ১৭৭ রান করে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় ৬৩.৫ ওভার। এরপর দ্বিতীয় ইনিংস স্থায়ী হয় মাত্র ৩২.৩ ওভার। মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ ও অ্যালেক্স কেরি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর কোনও ব্যাটারই লড়াই করতে পারেনি। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাটিং করার প্রয়োজন হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন-
অস্ট্রেলিয়া একটা সেশনের মধ্যেই অলআউট হয়ে যাবে ভাবিনি, বললেন রোহিত
বিরাটের কাছ থেকে বিপক্ষের ব্যাটারদের উপর চাপ বজায় রাখা শিখেছেন, জানালেন রোহিত
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৩০৬ রানে অনায়াস জয়, রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলা