India vs South Africa Test: দ্বিতীয় দিনের শেষে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান। ক্রিজে দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২৯ রানে এবং এবং করবিন বোশ ১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। প্রোটিয়ারা ৬৩ রানে এগিয়ে আছে।
India vs South Africa Test: দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনের শেষে, প্রোটিয়াদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান। মাত্র ৬৩ রানে গিয়ে আছে তারা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টেস্ট (india vs south africa test)।
দ্বিতীয় দিনের শেষে, প্রোটিয়াদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান
এই ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করেন ভারতীয় বোলাররা (india vs south africa test series)। মোট ৬ জন বোলার নিয়ে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। স্পিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব তো রয়েছেনই। সেইসঙ্গে, রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর অলরাউন্ডার-স্পিনার হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এই ম্যাচে। অন্যদিকে পেস বোলিং-এর ভার মহম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরার কাঁধে।

তবে প্রাথমিকভাবে সিরাজ কিছুটা ব্যর্থ হলেও, জ্বলে ওঠেন বুমরা। তাঁর স্পেলে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। রায়ান রিকেলটনের অফ-স্ট্যাম্পটি ছিটকে দিয়ে বুমরা রীতিমতো বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা জোরে বোলার বলা হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে, এইডেন মার্করামের উইকেটটিও বুমরার দখলে। এক্ষেত্রে ডানদিকে লাফিয়ে দুরন্ত ক্যাচটি নেন দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থ। উল্লেখ্য, নীতিশ কুমার রেড্ডির পরিবর্তে তিনি দলে আসেন এই ম্যাচে।
রিকেলটনের ঝুলিতে ২৩ রান এবং মার্করামের সংগ্রহে ৩১ রান। দুই ওপেনার শুরুটা ভালো করলেও, বুমরার দাপটে খুব একটা সুবিধা করতে পারননি। অপরদিকে, কুলদীপকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে মাত্র ৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
টিম ইন্ডিয়ার শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৮৯ রানে

এরপর উয়ান মুল্ডার যখন একটু ধরে খেলার চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই ফের আঘাত হানেন কুলদীপ। মুল্ডার আউট ২৪ রানে। অন্যদিকে, টনি ডি জর্জিকে ২৪ রানে এলবিডব্লিউ করেন সেই যশপ্রীত বুমরা।
কাইল ভেরেইন মাত্র ১৬ রান করে আউট হন মহম্মদ সিরাজের বলে এবং তারপর মার্কো জানসেনকে খালি হাতে ফেরান সেই সিরাজ। করবিন বোশ করেন ৩ রান, তিনি অক্ষরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ওদিকে সাইমন হার্মারের ঝুলিতে মাত্র ৫ রান। তাঁকেও আউট করেন বুমরা। কেশব মহারাজ খাতাই খুলতে পারেননি। তিনিও বুমরার শিকার। ট্রিস্টান স্টাবস ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
শেষপর্যন্ত, দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৫৯ রানে। চা বিরতি থেকে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই অলআউট হয়ে যায় গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। প্রথম দিন রীতিমতো আগুনে বোলিং করেন ভারত তথা গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার যশপ্রীত বুমরা। কেন তাঁকে সেরা বলা হয়? সেটাও প্রমাণ দিলেন আবার। বুমরার একার ঝুলিতেই ৫ উইকেট। ২টি করে উইকেট পান কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজ। এছাড়া ১টি উইকেট অক্ষর প্যাটেলের সংগ্রহে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে, টিম ইন্ডিয়ার শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৮৯ রানে। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ফিরে যান মাত্র ১২ রানে। কেএল রাহুল করেন ৩৯ রান, ওয়াশিংটন সুন্দরের সংগ্রহে ২৯ রান এবং উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থের ঝুলিতে ২৭ রান। দলের অধিনায়ক শুভমান গিল ৪ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে চলে যান।
অন্যদিকে, রবীন্দ্র জাদেজা করেন ২৭ রান, ধ্রুব জুরেলের সংগ্রহে ১৪ রান, অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে ১৬ রান, কুলদীপ যাদব এবং মহম্মদ সিরাজের ঝুলিতে ১ রান। যশপ্রীত বুমরা ১ রানে অপরাজিত থাকেন। সেই হিসেবে দেখতে গেলে, ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপও এক কথায় বলতে গেলে ব্যর্থ।
শেষপর্যন্ত, টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৮৯ রানে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট নেন সাইমন হার্মার, ৩টি উইকেট পান মার্কো জানসেন এবং ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কেশব মহারাজ ও করবিন বোশ।

প্রোটিয়ারা ৬৩ রানে এগিয়ে আছে
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, আবারও বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টিম ইন্ডিয়ার বোলিং দাপটে আবারও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন-আপ।
ওপেনার রায়ান রিকেলটন ফিরে গেছেন মাত্র ১১ রান। দলের আরেক ওপেনার এইডেন মার্করামের সংগ্রহে মাত্র ৪ রান, উয়ান মুল্ডারের ঝুলিতে ১১ রান, টনি ডি জর্জি করেছেন মাত্র ২ রান এবং ট্রিস্টান স্টাবস মাত্র ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটার কাইল ভেরেইন করেছেন মাত্র ৯ রান এবং মার্কো জানসেনের ঝুলিতে ১৩ রান। দ্বিতীয় দিনের শেষে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান। ক্রিজে দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ২৯ রানে এবং এবং করবিন বোশ ১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। প্রোটিয়ারা ৬৩ রানে এগিয়ে আছে।
অর্থাৎ, আর মাত্র ৩ উইকেট পড়লেই প্রোটিয়াদের ইনিংস শেষ। সেক্ষেত্রে ভারত যদি দ্রুত উইকেট তুলে নিতে পারে, তাহলে কালই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা। তবে রানের লক্ষ্যমাত্রা যতটা কম রাখা যায়, ততই ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার অর্থ হল, সকাল সকাল দ্রুত উইকেট ফেলতে হবে।
তবে অনেকের মতে, ভারত চাইবে না ম্যাচকে চতুর্থ দিনের সকাল পর্যন্ত নিয়ে যেতে। টার্গেট কম থাকলে, তৃতীয় দিনেই ম্যাচ শেষ করতে চাইবে তারা। কারণ, পিচের চরিত্র ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। যার জেরে রবিবার, অর্থাৎ তৃতীয় দিন হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হতে চলছে।
এদিকে ঘাড়ে চোটের কারণে, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শুভমান গিল। তাঁর বদলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ঋষভ পন্থ।
![]()
ভারতের প্রথম একাদশঃ যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শুভমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্থ (উইকেটকিপার-ব্যাটার), রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রুব জুরেল, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম একাদশঃ এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, উয়ান মুল্ডার, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, কাইল ভেরেইন (উইকেটকিপার-ব্যাটার), সাইমন হার্মার, মার্কো জানসেন, করবিন বোশ, কেশব মহারাজ
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।