সংক্ষিপ্ত

ফিরলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরল টিম ইন্ডিয়া। আর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, তাদের জন্য ছিল বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থা। এদিন, গোটা মাঠের সামনে যেন আরও বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি।

ফিরলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ (T-20 Cricket World Cup) জিতে দেশে ফিরল টিম ইন্ডিয়া। আর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, তাদের জন্য ছিল বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থা। এদিন, গোটা মাঠের সামনে যেন আরও বেশি আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।

প্রসঙ্গত, বার্বাডোজ় থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে দেশে ফেরে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। বৃহস্পতিবার, সকাল ৬.০৭ মিনিটে দিল্লী বিমানবন্দরে নামেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেখানে আসার পর কেকও কাটেন রোহিত শর্মারা। তারপর বিমানবন্দর থেকে টিম বাসকে নিয়ে বিশেষ কনভয় এগোয় সোজা হোটেলের দিকে।

এরপর তারা যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বাসভবনে। তাঁর সঙ্গে একান্তে বৈঠক সারেন কোহলিরা (Virat Kohli)। তারপর দিল্লি বিমানবন্দর থেকে সোজা মুম্বইয়ের দিকে রওনা দেন ক্রিকেটাররা। মুম্বই বিমানবন্দরের বাইরে তখন কার্যত জনসমুদ্র। বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হন কাতারে কাতারে সমর্থক।

একবার শুধু কোহলিদের দেখার ইচ্ছে। এ যেন এক অদ্ভুত আবেগ। এরপর হুডখোলা বাসে করে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের দিকে রওনা দেয় বিশ্বজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দল। হার্দিকের (Hardik Pandya) হাতে ট্রফি, ওদিকে আবার বাস থেকেই ছবি তুলতে ব্যস্ত কুলদীপ (Kuldeep Yadav)। হাত নাড়ছেন বুমরা (Jasprit Bumrah), অনাবিল আনন্দে তখন ভাসছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই (Mumbai)। মেরিন ড্রাইভের সামনে দিয়ে চলছিল ভিকট্রি প্যারেড।

আর ওদিকে ওয়াংখেড়ে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। সেখানে টিমের জন্য ছিল বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থা। দ্রাবিড়রা (Rahul Dravid) মাঠে প্রবেশ করতেই, গোটা দলকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন ওয়াংখেড়েতে (Wankhede Stadium) উপস্থিত সমর্থকরা। কারও হাতে ছিল হাতে আঁকা পোস্টার। কেউ আবার লিখে এনেছিলেন স্লোগান। গোটা ওয়াংখেড়ে জুড়ে চলছিল ‘ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া’ স্লোগান। আর রাস্তা থেকে স্টেডিয়াম, বারবার জ্বলে উঠল হাজার হাজার সমর্থকের ফ্ল্যাশলাইট।

এদিন, মাইক হাতে নিয়ে দর্শকদের হাততালির সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রইলেন রোহিত শর্মা। মুখে তাঁর হাসি এবং বললেন, “আমি আপ্লুত। দিল্লীতে নামার পর থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা এককথায় অসাধারণ।”

রোহিত আরও যোগ করলেন, “শেষ ওভারে চাপের মুখে হার্দিক বল করেছে। প্রথমে ক্লাসেনকে আউট করে ও আমাদের খেলায় ফিরিয়ে আনে। তারপর শেষ ওভারে মিলারের উইকেট নেয়। হার্দিক আমাদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছে।” রোহিত যখন এই কথাগুলি বলছেন, তখন সামনে চেয়ারে বসে থাকা হার্দিকের চোখে জল এবং মুখে তৃপ্তির হাসি।

অন্যদিকে বিরাট কোহলি যেন আরও আবেগপ্রবণ। তাঁর কথায়, “আমি আর রোহিত গত ১৫ বছর ধরে একসঙ্গে খেলছি। আমরা দুজনই একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছি। তবে দেশকে আরও একটা বিশ্বকাপ দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু পারিনি। এবার পারলাম। তাই জয়ের পর দুজনেই খুব কাঁদছিলাম। কাঁদতে কাঁদতেই আমরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই মুহূর্তটা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত হয়ে থেকে যাবে।”

সবমিলিয়ে, মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে যেন টিম ইন্ডিয়ার উপস্থিতিতে আরও আবেগতাড়িত হয়ে উঠল।

আরও পড়ুনঃ

মুম্বইতে জনসমুদ্র! কানায় কানায় পূর্ণ ওয়াংখেড়ে, কোহলিদের জন্য ওয়াটার ক্যানন স্যালুট

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।