সংক্ষিপ্ত

এবারের আইপিএল-এ প্লে-অফের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বাকি ম্যাচগুলি জিতে ভালো জায়গায় থাকাই এইডেন মার্করাম, ভুবনেশ্বর কুমারদের লক্ষ্য।

উত্তেজক ম্যাচের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জেতানোর স্বপ্ন সব ব্যাটারেরই থাকে। বোলারের কাছে আবার এটাই দুঃস্বপ্ন। রবিবার রাজস্থান রয়্যালস-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের শেষে দুই মেরুতে আবদুল সামাদ ও সন্দীপ শর্মা। দলকে জিতিয়ে সামাদ বললেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করতে যাই, তখন পরিস্থিতি মোটেই সহজ ছিল না। (গ্লেন) ফিলিপস আমাদের লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। আমি শট খেলার জন্য উপযুক্ত বলের অপেক্ষায় ছিলাম। ভাগ্য ভালো ছিল বলে নো-বলও পেয়ে যাই। আম্পায়ার আমাদের বলেন, ১ রানই দেওয়া হবে। আমি শট খেলার জন্য তৈরি ছিলাম। ফিলিপসই ম্যাচের রং বদলে দেয়। এই টুর্নামেন্টে আমরা এখনও প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে আছি। এই ম্যাচ জিতে যে আত্মবিশ্বাস পেলাম, আশা করি পরের ম্যাচগুলিতে সেটা কাজে লাগবে। পরের ম্যাচগুলিতেও আমরা একইভাবে খেলে যেতে চাই।’

এদিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হওয়া ফিলিপস ৭ বলে ২৫ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি। দলকে জেতানোর পর ফিলিপস বলেছেন, ‘আমি এমন একটি পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে নেমেছিলাম যখন আমরা জিততেও পারতাম আবার হেরে যেতেও পারতাম। এই পরিস্থিতিতে জয় পেয়ে ভালো লাগছে। আমরা সবাই নিজেদের কাজটা করতেই এখানে এসেছি। আমাদের কাছ থেকে এটাই চায় দল। আমাদের খেলার উপযুক্ত ফল পাওয়া গেল বলে খুশি হয়েছি। আমার ব্যাটিং করে দারুণ মজা লেগেছে। আমি যে বলে আউট হয়েছি, সেই বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। বড় শট খেলার বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারিনি বলে হতাশ হয়েছি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমাদের ১৭ রান দরকার ছিল। সেই অবস্থা থেকে সামাদ দলকে জিতিয়ে দিল। আমরা ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছি। নো-বল আমাদের সাহায্য করেছে।’

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম বলেছেন, ‘উত্তেজনা-আবেগের ম্যাচে জয় পেয়ে ভালো লাগছে। ২১৫ রান তাড়া করা সহজ ছিল না। দলের সবাই বড় টার্গেট তাড়া করে জয় পেতে সাহায্য করেছে। আমরা জানতাম এই মাঠের আউটফিল্ডে বল দ্রুত ছোটে। ফলে বেশি রান করা যায়। তবে আমাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা দরকার ছিল। অভিষেক (শর্মা) শুরুটা ভালো করে। তারপর (রাহুল) ত্রিপাঠি ওকে সঙ্গত করে। (গ্লেন) ফিলিপস, ক্লাসির (হেইনরিক ক্লাসেন) ক্যামিও আমাদের সাহায্য করে। আমার মনে হয় সামাদ চাপের মুখে খেলা অনুশীলন করে।’

আরও পড়ুন-

IPL 2023: ঋদ্ধিমান-শুবমানের অসাধারণ ইনিংস, লখনউয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় গুজরাটের

IPL 2023: অফফর্মে থাকা সুনীল নারিনকে ফের সুযোগ দেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স?

Nicholas Pooran: ডাল মাখানি, পনির বাটার মশলা, বাটার চিকেনে মজে নিকোলাস পুরাণ