সংক্ষিপ্ত

টানা রান না পেয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতের ওপেনার কে এল রাহুলকে। গত বছর একই অবস্থা হয়েছিল বিরাট কোহলির। অফফর্মের জন্য তাঁকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ফোন ধরেন না, কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না, এমন অনুযোগ অনেকেই করেন। বিরাট কোহলিও সে কথা জানিয়েছেন। তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, খারাপ সময়ে পরিবার ও ছোটবেলার কোচ ছাড়া পাশে দাঁড়িয়েছিলেন একমাত্র ধোনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পডকাস্টে বিরাট জানিয়েছেন, ‘অনুষ্কা (শর্মা) সবসময়ই আমার পাশে থেকেছে। ও আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমার কেমন অনুপভূতি হয়েছে, আমাকে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, আমার সঙ্গে ঠিক কী হয়েছে, সেটা ভালোভাবেই জানে অনুষ্কা। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, খারাপ সময়ে অনুষ্কা ছাড়া আমার পাশে ছিলেন একমাত্র এম এস ধোনি। আমার ছোটবেলার কোচ ও পরিবার ছাড়া একমাত্র ধোনিই আমার পাশে ছিলেন।’ বিরাটের সঙ্গে ধোনির সম্পর্ক বরাবরই ভালো। সবসময়ই তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ধোনির অবদানের কথা স্বীকার করেন বিরাট। তিনি ফের ধোনির অবদান স্বীকার করলেন।

প্রায় ৩ বছর শতরান পাননি বিরাট। গত বছর এশিয়া কাপে শতরান করে তিনি ফর্মে ফেরেন। এরপর টি-২০ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান এই তারকা। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনবদ্য ইনিংস খেলেন বিরাট। ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ধোনির সঙ্গে জাতীয় দলে খেলেছেন বিরাট। ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও যে তাঁদের সুসম্পর্ক আছে, সেটা জানিয়েছেন বিরাট। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ধোনির সঙ্গে সহজ যোগাযোগ করা যায় না। আমি যদি ওকে কখনও ফোন করি, তাহলে ৯৯ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে যে ও ফোন ধরবে না। কারণ, ও ফোনের দিকে তাকায় না। কিন্তু এরই মধ্যে ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ও দু'বার নিজেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ও আমাকে বলে, ‘যখন তুমি শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা হয় এবং তোমাকে শক্তিশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়, তখন সবাই তোমাকে এই প্রশ্ন করতে ভুলে যায় যে তুমি কেমন আছো?’ ধোনির এই কথা আমার মনে গেঁথে যায়। কারণ, আমি সবসময় এমন একজনকে দেখেছি যে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী, যে ব্যক্তি সবরকম পররিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করে এবং আমাদের পথ দেখায়।’

বিরাট আরও বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে মনে হয়, জীবনের একটা সময়ে দুই ধাপ পিছিয়ে যেতে হয়, জীবন কেমন চলছে সেটা বুঝতে হয়, সুখ-শান্তি খুঁজে নিতে হয়।’

২০২১-এর টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই ভারতের টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান বিরাট। এরপর ওডিআই, টেস্ট দলের অধিনায়ক পদ থেকেও বিরাটকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিরাট জানান, সেই সময়ও একমাত্র ধোনিই তাঁকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-

দিল্লি টেস্টের একটি সেশন বাদ দিয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার, দাবি ম্যাক্সওয়েলের

মা গুরুতর অসুস্থ, ইন্দোর টেস্টের আগে ভারতে ফিরছেন না প্যাট কামিন্স

Yuvraj Singh : শিম্পাঞ্জিকে নকল করে শরীরচর্চা, মজার ভিডিও শেয়ার যুবরাজ সিংয়ের