- Home
- Sports
- Cricket
- শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আক্রম, শোয়েব আখতার, নিষিদ্ধ মাদক সেবনে নাম জড়িয়েছে এই ক্রিকেটারদের
শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আক্রম, শোয়েব আখতার, নিষিদ্ধ মাদক সেবনে নাম জড়িয়েছে এই ক্রিকেটারদের
- FB
- TW
- Linkdin
নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে ২০০৩ বিশ্বকাপ শুরুর মুখে নির্বাসিত হন শেন ওয়ার্ন
শেন ওয়ার্ন ক্রিকেটজীবনে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম বিতর্ক ছিল নিষিদ্ধ মাদক সেবন। ২০০৩ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচের আগে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে নির্বাসিত হন ওয়ার্ন। তাঁকে ১২ মাস নির্বাসনে কাটাতে হয়।
ক্রিকেটার জীবনে কখনও ধরা পড়েননি, তবে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন ওয়াসিম আক্রম
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম বরাবরই সুভদ্র ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তিনিই একসময় নিষিদ্ধ মাদক সেবন করতেন। খেলা ছাড়ার পর তিনি কোকেনের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। সেই নেশা থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আত্মজীবনীতে সে কথা উল্লেখ করেছেন আক্রম।
বরাবরই বিতর্কিত চরিত্র শোয়েব আখতার, তিনি নিষিদ্ধ মাদক সেবনও করতেন
পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার বরাবরই বিতর্কিত চরিত্র। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাঁর আচরণ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। নিষিদ্ধ মাদক সেবনের ঘটনাতেও নাম জড়ায় শোয়েবের। ২০০৬ সালে রাজস্থানের জয়পুরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে পারফরম্যান্স বর্ধক মাদক সেবন করার অভিযোগ ওঠে এই পেসারের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান দল তাঁকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটার ইউসুফ পাঠানেরও
ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ডান হাতি ব্যাটার ও অফস্পিনার ইউসুফ পাঠানও নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে নির্বাসিত হন। বাঁ হাতি পেসার ইরফান পাঠানের দাদা ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় ৫ মাসের জন্য নির্বাসিত হন।
নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে নির্বাসিত হন প্রাক্তন পাক পেসার মহম্মদ আসিফ
২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন শোয়েব আখতারের মতোই নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে। এরপরেও তিনি শোধরাননি। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল চলাকালীন ফের নিষিদ্ধ মাদক সেবন করার অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানের এই প্রাক্তন পেসারের বিরুদ্ধে। তাঁকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করে আইপিএল ড্রাগস ট্রাইব্যুনাল।
নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের বিরুদ্ধেও
অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং আইপিএল-এ চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। তবে তিনিই একবার মাদককাণ্ডে জড়িয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর চলাকালীন ডিওন ন্যাশ, ম্যাথু হার্টের মতো সতীর্থদের সঙ্গে মিলে নিষিদ্ধ মাদক সেবন করার অভিযোগ ওঠে ফ্লেমিংয়ের বিরুদ্ধে।
নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে নির্বাসিত হন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ
২০১৯ মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি চলাকালীন ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন পৃথ্বী শ। সেবারের আইপিএল শেষ হওয়ার পর তাঁকে ৮ মাসের জন্য নির্বাসিত করে বিসিসিআই। জানানো হয়, কাফ সিরাপে পাওয়া যায় এমন একটি নিষিদ্ধ মাদক সেবন করেন পৃথ্বী।
২০১৩ আইপিএল-এ ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হয়ে নির্বাসিত হন প্রদীপ সাঙ্গওয়ান
২০১৩ মরসুমের আইপিএল চলাকালীন র্যান্ডম ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে যান কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি পেসার প্রদীপ সাঙ্গওয়ান। আইপিএল-এর ইতিহাসে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হন। তাঁকে নির্বাসিত করা হয়।
আইপিএল চলাকালীন মাদককাণ্ডে নাম জড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পার্নেলের
২০১২ সালের আইপিএল চলাকালীন একটি হোটেলে হান দেয় মুম্বই পুলিশ। সেই হোটেল থেকে আটক করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েন পার্নেলকে। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে। আইপিএল থেকে নির্বাসিত হন পার্নেল।
আইপিএল-এ পুণের ক্রিকেটার রাহুল শর্মাও পার্নেলের সঙ্গেই মাদককাণ্ডে আটক হন
২০১২ মরসুমের আইপিএল-এ পুণের লেগস্পিনার রাহুল শর্মা তাঁর সতীর্থ প্রোটিয়া পেসার ওয়েন পার্নেলের সঙ্গেই নিষিদ্ধ মাদক সেবনের দায়ে আটক হন। এই ঘটনার জেরে এই ক্রিকেটারের কেরিয়ারই শেষ হয়ে যায়। তাঁকে আর কখনও বড় কোনও প্রতিযোগিতায় খেলতে দেখা যায়নি।