সংক্ষিপ্ত

চেন্নাইতে মহারণ। রবিবার সন্ধ্যায় এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর ২২ গজের সেই মেগা লড়াইয়ের আগে নাইটদেরকেই এগিয়ে রাখছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ সম্বরণ ব্যানার্জি।

চেন্নাইতে মহারণ। রবিবার সন্ধ্যায় এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর ২২ গজের সেই মেগা লড়াইয়ের আগে নাইটদেরকেই এগিয়ে রাখছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ সম্বরণ ব্যানার্জি।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত মাত্র দুবার আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলতে পেরেছে কেকেআর। প্রথমটি ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৪ সালে। গত ২০২১ সালের আইপিএল ফাইনালে উঠলেও, জয় পায়নি তারা। ফলে, রবিবারের ফাইনাল যেন কার্যত পাখির চোখ কেকেআর ব্রিগেডের কাছে।

আর এই প্রসঙ্গেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ সম্বরণ ব্যানার্জি বলেন, “পারফরম্যান্স এবং টিম কম্বিনেশনের দিক দিয়ে বিচার করলে এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও কেকেআর এগিয়ে আছে।”

উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলে মোট ৯টি জয় পেয়েছে নাইটরা। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সেই জায়গায় জিতেছে ৮টি ম্যাচ। আইপিএলের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যার মধ্যে ১৮টি ম্যাচে জয় পেয়েছে কেকেআর। মাত্র ৯টি ম্যাচে জিততে সক্ষম হয়েছে সানরাইজার্স।

কিন্তু দুই দলই যথেষ্ট ভালো ক্রিকেট উপহার দিয়ে ফাইনালে উঠেছে। ফলে টক্কর যে সমানে সমানে হবে, সেই কথা বলাই বাহুল্য। তিনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে আরও জানান, “ফ্যাক্টর একটা হতে পারে। যেহেতু প্রায় দেড় মাস হতে চলল এই প্রতিযোগিতার, তাই যতই সময় এগোচ্ছে ততই উইকেট ফেটে যাচ্ছে। তাই স্পিনাররা বাড়তি সাহায্য পেতে পারে। সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তীর মতো স্পিনার রয়েছে কেকেআর দলে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বাড়তি সুবিধা।”

তবে সম্বরণ ব্যানার্জি আরও একটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তা হল টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইন আপ। তাঁর মতে, “পাওয়ার-প্লেতে সুনীল নারিনের ব্যাটিং খেলাটাকে অনেকটা বদলে দিচ্ছে। শুরুতেই নাইট রাইডার্স বড় রান পেয়ে গেলে, অপোনেন্ট দলের পক্ষে সেই ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যদিও হায়দরাবাদের ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। ট্রেভিস হেড, অভিষেক শর্মা এবং ক্লাসেনের মতো ক্রিকেটাররা রয়েছেন এই দলে। তিনজনই ভালো ফর্মে আছেন। ভালো ক্রিকেট হবে। কিন্তু কলকাতার হাতে ভালো স্পিনার আছে। সেটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যেতে পারে। তবে এই ম্যাচে টসও বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

সবমিলিয়ে, রবিবাসরীয় ফাইনালের আগে যেন টগবগ করে ফুটছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখন দেখার বিষয় এটিই যে, শেষপর্যন্ত আইপিএল ট্রফি কার হাতে ওঠে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।