সংক্ষিপ্ত

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি। বড় স্কোর করার পর জয়ের আশায় ভারতীয় দল।

এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ৩ ম্যাচেই ব্যর্থ। অনেক আলোচনা হচ্ছিল ওপেনার কে এল রাহুলকে। তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে নামিয়ে আনা, এমনকী প্রয়োজনে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলছিলেন অনেকে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফর্মে ফিরে সবাইকে জবাব দিলেন রাহুল। তিনি এদিন ৩১ বলে ৫০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৩টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। নবম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ওঠে ২৪ রান। এই ওভারে ২টি ছক্কা মারেন রাহুল। এই ওভারের আগে পর্যন্ত ভারতীয় দল কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করছিল। তবে এই ওভারের পরেই রানের গতি বাড়ে। রাহুল অবশ্য ৫০ রান পূর্ণ করার পরেই বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল-হাসানের বলে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। তবে এদিনের ইনিংসের মাধ্যমে রাহুল জানান দিয়ে গেলেন, তিনি ফর্মে ফিরেছেন। পরের ম্যাচেও টপ অর্ডারে বড় রান করতে তৈরি তিনি।

এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে রোহিতের ক্যাচ মিস হয়। তাসকিন আহমেদের বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন রোহিত। ক্যাচ যায় হাসান মাহমুদের হাতে। তিনি সহজ ক্যাচ ফস্কান। পরের ওভারে বল করতে আসেন হাসান। তাঁর প্রথম বলেই ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রোহিত (২)। এদিন হতাশ করলেন ভারতের অধিনায়ক। ক্যাচ মিস হওয়ার পর তাঁর সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না।

রোহিত ভাল খেলতে না পারলেও, বিরাট যথারীতি দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি তৃতীয় অর্ধশতরান করে ফেললেন। এদিন ৩৭ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন বিরাট। তিনি শেষপর্যন্ত ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বিরাটের ৪৪ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। হার্দিক পান্ডিয়া (৫), দীনেশ কার্তিক (৭), অক্ষর প্যাটেলরা (৭) অবশ্য বড় রান পাননি। 

বাংলাদেশের হয়ে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান। ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শাকিব। সৌম্য সরকারের বদলে খেলার সুযোগ পাওয়া শরিফুল ইসলাম ৪ ওভার বল করে কোনও উইকেট না নিয়ে দিলেন ৫৭ রান।