সংক্ষিপ্ত
বুধবার টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনাল। পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের রানার্স নিউজিল্যান্ড। এরপর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড লড়াই।
টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে পাকিস্তানের সমর্থকরা ৩ দশক পিছিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯২ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রমদের পাকিস্তান। সেবার তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়। এবারও তেমনই ফলের আশায় পাক সমর্থকরা। তাঁরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন। কিন্তু সেটা চাইলেই তো আর হবে না। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সঙ্গে চলতি প্রতিযোগিতার অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছে পাক শিবির। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেমি ফাইনাল এবং অন্য সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড থাকায় পাকিস্তানের আশা বেড়ে গিয়েছে। ৩ দশক আগেও যে ঠিক এই পরিস্থিতিই ছিল। তবে এবার নিউজিল্যান্ড দলও তৈরি। কেন উইলিয়ামসনরা সহজে হার মানবেন না। তাঁরা পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত। পেস আক্রমণ যেমন শক্তিশালী, তেমনই কিউয়িদের ব্যাটিং লাইনআপও দুর্দান্ত। সেই কারণে বুধবার পাকিস্তানের লড়াই মোটেই সহজ হবে না। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইলে পাকিস্তানকে সেভাবেই খেলতে হবে। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছাড়া আর কোনও ম্যাচেই দাপট দেখাতে পারেনি পাকিস্তান। শেষ চারের লড়াইয়ে একটু ঢিলে দিলেই কিন্তু কিউয়িরা জাঁকিয়ে বসবে।
পাকিস্তান এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম ২ ম্যাচ হেরে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল। সেখান থেকে পরপর ৩ ম্যাচ জিতে এবং অবশ্যই ভাগ্যের সহায়তা পেয়ে সেমি ফাইনালে উঠেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি অভাবনীয়ভাবে নেদারল্যান্ডসের কাছে না হেরে যেত, পাকিস্তানের সেমি ফাইনালে খেলার কথাই নয়। সেই কারণেই পাকিস্তানের প্রধান কোচ সাকলিন মুস্তাক বলেছেন, প্রকৃতির আশ্চর্য ঘটনাই তাঁদের সামনে শেষ চারের দরজা খুলে দিয়েছে। প্রকৃতির আশীর্বাদ কি সেমি ফাইনালেও পাবে পাকিস্তান?
নিউজিল্যান্ড দল কিন্তু সাম্প্রতিক সাফল্যের বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। ওডিআই বিশ্বকাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছে কিউয়িরা। তারা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। এবার টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা টি-২০ বিশ্বকাপ জিততে চাইছেন। গ্লেন ফিলিপস এই প্রতিযেগিতায় অসাধারণ ফর্মে। শেষ চারের লড়াইয়েও তাঁর উপরেই ভরসা করছে দল। অন্যদিকে, পাক শিবির শান মাসুদ, মহম্মদ নওয়াজ, শাদাব খানের উপর ভরসা করছে।
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে সিডনিতে এখনও পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ হয়েছে। সেমি ফাইনাল যে পিচে খেলা হবে, সেই পিচ থেকে ব্যাটাররা সাহায্য পেতে পারেন। ফলে পাকিস্তানের কিছুটা সুবিধা হতে পারে।
আরও পড়ুন-
'ব্রিটিশ রাজ' রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সেরে সেমি ফাইনালের প্রস্তুতিতে রোহিতরা
সেমিফাইনালের আগেই চিন্তায় দল, হাতে চোট পেয়ে অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন রোহিত
সবাই টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে চাইছে, বললেন শেন ওয়াটসন