সংক্ষিপ্ত

ঐতিহাসিক শহর বর্ধমানের ক্রিকেটপ্রেমীদের মাতিয়ে দিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট তারকা ক্রিস গেইল। তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

রাজনন্দিনী কাপ উপলক্ষে রবিবার বর্ধমান শহরে পা রাখলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। তিনি আসায় বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল বর্ধমানের মালির মাঠ। 'দ্য ইউনিভার্সাল বস'-কে দেখার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন গেইল বর্ধমানে আসার পর তাঁকে দেখার জন্য উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অসংখ্য মানুষ। সেলফি, ছবি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওরকমে গেইলকে মাঠে নিয়ে যান। হুডখোলা জিপ ক্য়ারিবিয়ান তারকাকে নিয়ে গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করে। যাঁকে সবসময় টিভির পর্দায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়, তাঁকে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠা স্বাভাবিক। রবিবার বর্ধমানে ঠিক সেটাই হয়। তাঁকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের এই উচ্ছ্বাস উপভোগই করছিলেন গেইল। বরাবরের মতোই সারাক্ষণ তাঁর মুখে চওড়া হাসি ছিল।

বর্ধমানে টেনিস বলের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা রাজনন্দিনী কাপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। কয়েক বছর ধরে হয়ে আসছে এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে নিয়ে আসা হয় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। এবারও প্রাক্তন ক্রিকেটার, চিত্রতারকাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাওলি দাম, গেইলরা রাজনন্দিনী কাপের জৌলুস বাড়িয়ে দেন। 

এর আগে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব নিখাঞ্জ, ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখা গৌতম গম্ভীর, ২০০১ সালে ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা অফস্পিনার এবং ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা রাজনন্দিনী কাপ ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে বর্ধমানে এসেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ব্রায়ান চার্লস লারাও রাজনন্দিনী কাপ ফাইনাল উপলক্ষে বর্ধমানে এসেছেন। এবার এলেন গেইল।

এবারের রাজনন্দিনী কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শুরু হয় শুক্রবার। রবিবার ফাইনাল ম্যাচ হল। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দল পেল ৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার। রানার্স দল পেল ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পেল ২০ হাজার টাকা করে। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারকে মোটর বাইক ও ট্রফি দেওয়া হয়। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারকে এলইডি টিভি ও ট্রফি দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে স্টাইলিশ ক্রিকেটারকে মাইক্রোওয়েভ ও ট্রফি দেওয়া হল। প্রতিটি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারকে বেশ ভালোমানের ব্যাট উপহার দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-

ক্রিকেট প্রেমীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা, বর্ধমান মাতিয়ে দিলেন ক্রিস গেইল

দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সহজ জয়, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সমতা ফেরাল ভারত

অসাধারণ বোলিং বাংলার তিতাসের, মহিলা ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত