সংক্ষিপ্ত
উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ ফাইনালে প্রত্যাশিতভাবেই দুর্দান্ত লড়াই হল। মুম্বই ইন্ডিয়ানস ও দিল্লি ক্যাপিটালস সারা প্রতিযোগিতায় যেভাবে খেলেছে ফাইনালেও সেভাবেই খেলল।
২০১৫ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে নো-বল নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেদিন বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন রোহিত শর্মা। রবিবার মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ ফাইনালে গ্যালারিতে সেই রোহিতের উপস্থিতিতেই ফের নো-বল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে আম্পায়ার নো-বল ডাকায় আউট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন রোহিত। এদিন আম্পায়ারপ নো-বল না ডাকায় আউট হয়ে গেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার শেফালি ভার্মা। মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে যান ইসি উং। তাঁর তৃতীয় বল শেফালির কোমরের উপরে ছিল বলে টেলিভিশন রিপ্লেতে মনে হয়। সেই বলে শট খেলতে গিয়ে মেলি কেরকে ক্যাচ দেন শেফালি। এই আউট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্ক চলছে। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ানস জিতে যাওয়ায় বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লির সমর্থকদের দাবি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্যই মুম্বইয়ের জয় সহজ হয়েছে। হরমনপ্রীত কউররা প্রথম উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও, ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেল।
রবিবার উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখতে ব্র্যবোর্ন স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ানসের পুরুষ দলের একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটার। ছিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। রোহিত ছাড়াও ছিলেন বর্তমান দলের অন্যতম সদস্য ঈশান কিষাণ। তাঁদের সামনেই চ্যাম্পিয়ন হলেন হরমনপ্রীত, ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট, উং, হেলি ম্যাথুজরা।
ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত ভালো প্রমাণিত হয়নি। আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক এবং উং, ম্যাথুজ, মেলির দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান করেই আটকে যায় দিল্লি। সর্বাধিক ৩৫ রান করেন অধিনায়কই। তিনি ওপেন করতে নেমে লড়াই করেন। ৪ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান শেফালি। তিনি একটি করে বাউন্ডারি, ওভার-বাউন্ডারি মেরে ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিলেন। কিন্তু দ্রুত ডাগআউটে ফিরে যেতে হয়। উংয়ের এই ওভারেই আউট হয়ে যান অ্যালিস কেপসি (০)। ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। জেমাইমা রডরিগেজ করেন ৯ রান। মেরিজেন ক্যাপ করেন ১৮ রান। ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন শিখা পাণ্ডে। রাধা যাদবও ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুম্বইয়ের হয়ে ৩ উইকেট করে নেন উং ও ম্যাথুজ। জোড়া উইকেট নেন মেলি।
রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতেই জয় পায় মুম্বই। ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন স্কিভার-ব্রান্ট। হরমনপ্রীত করেন ৩৭ রান। ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মেলি। দিল্লির হয়ে রাধা ও জেস জোনাসেন ১ উইকেট করে নেন।
আরও পড়ুন-
মরসুমের প্রথম আম মাকে খাওয়ালেন সচিন তেন্ডুলকর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
IPL 2023: আইপিএল-এ ২২ গজে লড়াই করবেন ক্রিকেটাররা, গ্যালারিতে উষ্ণতা ছড়াবেন সুন্দরী স্ত্রীরা
IPL 2023: অধিনায়কত্বের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ডেভিড ওয়ার্নার, আশাবাদী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়