সংক্ষিপ্ত
- খেলায় ময়দানকে বিদায় জানালেন দীপা মাালিক
- ২০১৬-র রিও প্যারালিম্পিক্সে যুগ্মভাবে শিরোপা জিতেছিলেন দীপা
- পদ্মশ্রী ও অর্জুন সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি
- প্যারালিম্পিক কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজ করবেন দীপা মালিক
প্রতিবন্ধকতাকে তার কাছে শুধু একটা শব্দ। জীবনের সব বাধা হেলায় হারিয়ে শুধু নিজের নয়, বিশ্বের দরবারে বারবার দেশের উজ্জ্বল করেছেন তিনি। দীপা মালিক। ভারতে তিনিই প্রথম প্যারা-অ্যাথলিট, যিনি শট পাটে এফ-৫৩ ক্যাটেগরিতে ২০১৬-র রিও প্যারালিম্পিক্সে যুগ্মভাবে শিরোপা জিতেছিলেন। ৫৮টি জাতীয় ও ২৩টি আন্তর্জাতিক পদ জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন দীপা। পদ্মশ্রী ও অর্জুন সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। সোমবার সবুজ গালিচাকে বিদায় জানালেন ভারত মাতার এই কৃতি সন্তান। অবসর ঘোষণা করলেন দীপা মালিক।
আরও পড়ুনঃআইসিসির টেস্ট ব়্যাঙ্কিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ গম্ভীরের,ভারতই এক নম্বর টেস্ট দল বলে মত গৌতির
থেমে থাকতে তিনি শেখেননি। ক্রীড়াবিদ হিসেবে ময়দানে আর নামলেও এবার ক্রীড়া প্রশাসক হতে চলেছেন দীপা। দেশের প্যারাঅলিম্পিক কমিটি অফ ইন্ডিয়া (পিসিআই)-এর প্রধানের দায়িত্ব সামলানোর জন্যই এই অবসরগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোমবার টুইটে এমনটাই জানিয়ে দেন দীপা। ৪৯ বছর বয়সী খেলোয়ার বলেন যে কেন্দ্রীয় যুব এবং ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রকের সঙ্গে সংযুক্তির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "নির্বাচনের জন্য অনেক আগেই একটা চিঠি পিসিআইয়ে দাখিল করেছিলাম। যেটা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ওপর ঝুলে রয়েছে। তাই আমার সক্রিয় ক্রীড়ার আসর থেকে অবসর ঘোষণা জনস্বার্থে প্রচারের স্বার্থে এই টুইট করলাম। এখন প্যারাক্রীড়াকে সাহায্য করা ও উঠতি ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে আসার সুযোগ করে দেওয়া লক্ষ্য।" সংবাদ সংস্থা এনএনআইকে রাজীব খেলরত্ন প্রাপক এই ক্রীড়াবিদ বলেন, "আমি ১৬/০৯/২০১৯-এ কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রকে একটা চিঠি দাখিল করেছি। আমি হাইকোর্টের অনুমোদনের অপেক্ষা করছিলাম। সেই নির্দেশ পিসিআইয়ের পক্ষে এসেছে। এখন নতুন কমিটিকে অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট।"
আরও পড়ুনঃ'ভাল বল করলে পালটা বোলারকে গালি দেন বিরাট', অভিযোগ বাংলাদেশি পেসারের
আরও পড়ুনঃলকডাউনের বাজারে ফের চমক,সি কে ভিনিথ ও রিনো অ্যান্টোকে পাকা করে ফেলল ইষ্টবেঙ্গল
এছাড়াও দীপা মালিক বলেছেন, "প্যারা অলিম্পিক কমিটির সভাপতি হিসেবে আমার লক্ষ্য দেশের উঠতি ও প্রতিভাবান প্যারা-অ্যাথলিটদের জায়গা করে দেওয়া।" জাতীয় ক্রীড়া নীতি বলছে, একজন সক্রিয় ক্রীড়াবিদ কোনও ক্রীড়া কমিটির পদে বসতে পারবেন না। তাই সেই নিয়ম মেনে আর নিয়গে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমি ইস্তফা দিয়েছি। তবে খেলা থেকে দূরে থাকতে যে তার মন কাঁদবে সেই কথাও জানিয়েছেন দীপা মালিক। জানিয়েছেন, কখনও খেলা আর প্রশাসনিক কাজ একসঙ্গে করার অনুমতি পেলে ২০২২ সালের এশিয়ান গেমসে ফেরার কথা ভেবে দেখব। জানি না, খেলার থেকে দূরে কীভাবে থাকব। তবে দেশের ভালর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম।”