সংক্ষিপ্ত

লখনউয়ে চিফ মিনিস্টার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত করে সবুজ-মেরুন।

লখনউয়ে ‘বাদশাহী আংটি’ ছিনিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৩-২ হারিয়ে চিফ মিনিস্টার কাপ জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে গোল করেন সুহেল আহমেদ ভাট। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন মহম্মদ আশিক। ৮২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ উইঙ্গার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন তন্ময় দাস, পি ভি বিষ্ণু ও মহম্মদ মুশারফ। তন্ময় ও বিষ্ণুর শট বাইরে চলে যায়। মুশারফের শট সেভ করে দেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের গোলকিপার অভিষেক বালোয়ারি। টাইব্রেকারে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হয়ে গোল করেন সের্তো কম, আদিল আবদুল্লা ও রবি রানা। শিবাজিৎ সিং ও কাস্টানার শট সেভ করে দেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার আদিত্য পাত্র। কিন্তু তাঁর পক্ষে দলকে জেতানো সম্ভব হয়নি।

দায়সারা ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের

লখনউয়ের কে ডি সিং বাবু স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দাপট ছিল। ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করে ফেলেছিলেন সুহেল। কিন্তু অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়নি। তবে গোল পাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৮ মিনিটে সালাহউদ্দিনের ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন সুহেল। ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ কলকাতা লিগে নিয়মিত খেলা বেশিরভাগ ফুটবলারকেই প্রথম একাদশে রাখেননি। কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের কথা মাথায় রেখে চোট এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শুরু থেকেই দায়সারা ফুটবল খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডেরই আক্রমণ বেশি ছিল। সায়ন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার পর ইস্টবেঙ্গল পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ৭১ মিনিটে আমন সি কে-র মাইনাস থেকে গোল করেন আশিক। ১০ জনে হয়ে যাওয়ার পর মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট রক্ষণে চাপ তৈরি করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই সময় একাধিক সুযোগ নষ্ট হয়। না হলে জয় পেতে পারত ইস্টবেঙ্গল।

পরিকাঠামোয় অনেক পিছিয়ে লখনউ

লখনউয়ে কলকাতা ডার্বি আয়োজন করা হল বটে, কিন্তু যে মাঠে ম্যাচ হল সেখানে অনেক জায়গাতেই ঘাস নেই। ঘাস ঠিকমতো ছাঁটাও হয়নি। মাঠে বাউন্স অসমান। এরই মধ্যে দুই দলের তরুণ ফুটবলাররা লড়াই করলেন। কেউ চোট পাননি, এটাই সবচেয়ে বড় স্বস্তি।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

ঘরের মাঠে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ম্যাচ দিয়ে শুরু আইএসএল, প্রথমে অ্যাওয়ে ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের

ফের পথে তিন প্রধানের সমর্থকরা, জাতীয় ক্রীড়া দিবসে আর জি করের বিচার চেয়ে মিছিল

পথ দেখাচ্ছে আইএফএ, ভারতে প্রথমবার রেফারিদের সাহায্য করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার