সংক্ষিপ্ত
নৈহাটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে-র হয়ে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তাদের প্রচার ঘিরে গড়ের মাঠে তীব্র বিতর্ক।
কলকাতা ময়দানকে রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমাবেশ নিয়ে প্রচার চলছে। এরই মধ্যে এই সমাবেশ নিয়ে সিপিআইএম-কে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। শনিবার সকালে তিনি 'এক্স' হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘সূত্রের খবর, ময়দান রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়ে ১২ তারিখ গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে যে 'অরাজনৈতিক' সভার প্রচার ফেসবুকে হচ্ছে, তার প্রস্তুতিতে আজ শনিবার দুপুর একটায় সিপিএম-এর কলকাতা জেলা দফতর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে একটি জরুরি ও গোপন বৈঠকের আয়োজন হয়েছে। সিপিএম-এর পতাকা ছাড়া, তিন প্রধানের জার্সি পরিয়ে কিছু কমরেডকে ওই দিন হাজির করার চেষ্টা চলছে। যে সিপিএম-এর একাধিক বড় নেতা ইস্টবেঙ্গল-সহ বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনের পদে ছিলেন, তাঁরা এখন ছদ্মবেশে ময়দান অরাজনীতিকরণের কথা বলছেন। আজ বৈঠকে ফৈয়াজ আমেদ খান সহ কিছু নেতা থাকার কথা। থাকবেন হেদুয়া-সহ দু-চারটি এলাকার সিপিএম সংগঠকরা। সূত্রে আরও খবর, ১২ তারিখ সঙ্গে থাকার জন্য এঁদের একটি অংশ বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার কিছু নেতার সঙ্গে কথা বলছেন। সমস্যা হল, বিজেপি নিজেরাই তো এআইএফএফ শীর্ষপদ দখল করে বসে আছে। যাই হোক, সিপিএম অফিসে বসে সিপিএমের নেতা ও ক্যাডাররা, যাঁরা একসময়ে ময়দানে নানা পদে, তাঁরা আজ নাটকের কোন্ চিত্রনাট্যের খসড়া করেন, সেটা ভারি বিনোদনের বিষয়। অরাজনীতির কর্মসূচি নিয়ে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির অফিসে বৈঠক। কী রোমাঞ্চকর!’
ময়দানে রাজনীতিকরণের অভিযোগ কুণালের
ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব-সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যুক্ত থাকার কথা তুলে ধরে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন কুণাল। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব সিপিএম নেতা শচীন সেন, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সভাপতি কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ ঘোষ, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি সিপিএম নেতা স্নেহাংশু আচার্য, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি সিপিএম নেতা মানস মুখোপাধ্যায়, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রাক্তন কর্তা কলিমুদ্দিন শামস, বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি প্রয়াত লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, প্রফুল প্যাটেল, কল্যাণ চৌবের থাকার কথা উল্লেখ করেছেন কুণাল।
আইএফএ সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই
আইএফএ সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অপর এক ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব-সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের মাথায়। কুণাল নিজে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত। সে কথা অবশ্য উল্লেখ করেননি কুণাল। তিনি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে মোহনবাগান-সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের যোগ থাকার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে সিপিএম ও বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-