Ma Baby-Bhaichung: ফুটবলের ময়দান যেন সবাইকে একসঙ্গে মিলিয়ে দেয়। দিল্লীতে সেই ছবিই ধরা পড়ল।
Ma Baby-Bhaichung: ফুটবল যেন কোনও বয়সই মানে না। প্রতি বছরের ১৩ অগাস্ট, লাতিন আমেরিকার অন্তর্গত কিউবার ইতিহাসে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন। কারণ, সেই দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর জন্মদিন (National Committee for Solidarity with Cuba)। আর ২০২৫ সালের ১৩ অগাস্ট, ফিদেল কাস্ত্রোর জন্ম-শতবার্ষিকী। সেই উপলক্ষ্যেই দিল্লীতে বুধবার, ন্যাশনাল কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ কিউবার পক্ষ থেকে ‘ফিদেল কাস্ত্রো সেন্টিনারি ফুটবল কাপ'-এর আয়োজন করা হয় (Football Tournament)।

সেই টুর্নামেন্টেই খেলতে নামেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া, সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি, এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এবং কিষাণ সভার নেতৃত্ব বিজু কৃষ্ণাণ সহ আরও অনেকে। এই ম্যাচে রীতিমতো গোলকিপারের ভূমিকায় দেখা গেল সিপিএম-এর সম্পাদককে।

এছাড়াও মাঠে নামেন সিপিএম-এর পলিট ব্যুরোর নেতা অরুণ কুমার সহ আরও অনেকে। দুটি দল মূলত অংশ নেয় এই ম্যাচে, সলিডারিটি কমিটি একাদশ এবং অ্যাম্বাসেডর একাদশ। প্রসঙ্গত, ফিদেল কাস্ত্রো ছিলেন একজন কিউবান কমিউনিস্ট বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ। যিনি গত ১৯৫৯-২০০৮ সাল সাল পর্যন্ত, কিউবাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কাস্ত্রো সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ১৯৫৯-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এবং পরে রাষ্ট্রপতি ছিলেন ১৯৭৬-২০০৮ সাল অবধি।

কিউবার বৈপ্লবিক ইতিহাসে ফিদেল কাস্ত্রোর অবদান অনস্বীকার্য। বলা ভালো, তিনি হলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যিনি বাতিস্তা শাসনকে উৎখাত করে, একটি আপাদমস্তক কমিউনিস্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফিদেলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, কার্যকলাপ, সমাজতান্ত্রিক সংস্কারের বাস্তবায়ন এবং শিল্পের জাতীয়করণ, আদতে কিউবাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

চলতি ২০২৫ সালের ১৩ অগাস্ট, অর্থাৎ বুধবার তাঁর জন্ম-শতবার্ষিকী। তাকে কেন্দ্র করেই, ন্যাশনাল কমিটি ফর সলিডারিটি উইথ কিউবার পক্ষ থেকে ‘ফিদেল কাস্ত্রো সেন্টিনারি ফুটবল কাপ'-এর আয়োজন করা হয় দিল্লীতে। এদিন কিউবার রাষ্ট্রদূত জুয়ান কার্লোস মার্সান এবং কিউবান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মাইকি দিয়াজ পেরেজ সহ অন্যান্য কিউবান কূটনীতিবিদরা এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

আসলে ফিদেল মনে করতেন, খেলাধুলো মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলে। তাই এই ফুটবল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তারা সাম্য, ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক সংহতির বার্তা দিতে চান বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবল তারকা মারাদোনাকেও একাধিকবার ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গেছিল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

