সংক্ষিপ্ত
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে সদস্য-সমর্থকদের কৌতূহল বৃদ্ধি, তারপর সরকারিভাবে ঘোষণা। চলতি মরসুমে এই কৌশলে এক এক করে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির কথা ঘোষণা করছে ইস্টবেঙ্গল।
নন্দকুমার শেখর, বোরহা হেরেরার পর এবার নিশু কুমারের সঙ্গে চুক্তির কথা ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল। কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি থেকে ১ বছরের লোনে লাল-হলুদে যোগ দিলেন এই ডিফেন্ডার। জেরিকে ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে লেফট ব্যাক পজিশনে একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার দরকার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। সেই কারণেই নিশুকে দলে নেওয়া হল। অতীতে প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি-তে ছিলেন নিশু। ২০১৮-১৯ মরসুমে তাঁরা একসঙ্গে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হন। বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে আই লিগও জিতেছেন নিশু। সেই কারণেই তাঁকে দলে চেয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। নিশুও পুরনো কোচের সঙ্গে ফের একই দলে যোগ দিতে পেরে খুশি। শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য, সমর্থক এবং কলকাতা ডার্বি নিশুর লাল-হলুদে যোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ।
লাল-হলুদে যোগ দিয়ে নিশু বলেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের মতো একটি অসাধারণ প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারা আমার কাছে গর্বের ব্যাপার। এই ক্লাবের বিশাল সমর্থক আছে। এটা যে কোনও খেলোয়াড়কে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে অনুপ্রাণিত করে। কোচ কার্লেসের সঙ্গে ফের একই দলে যোগ দিতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। বেঙ্গালুরু এফসি-তে আমি যখন কম বয়সে যোগ দিয়েছিলাম, তখন তিনি আমাকে ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলেন। আসন্ন মরসুমে আমরা অনেক ম্যাচ খেলব। প্রতিটি ম্যাচে আমি নিজের সেরাটা দেব। আমাদের সমর্থকদের আনন্দ করার সুযোগ দেব।’
লাল-হলুদের প্রধান কোচ বলেছেন, 'নিশু অত্যন্ত প্রতিভাবান ফুটবলার। ও প্রচণ্ড পরিশ্রমও করতে পারে। ওর আইএসএল-এ অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ও ২০১৯ সালে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-র হয়ে ২০২২ সালে ও আইএসএল ফাইনাল খেলেছে। ও আমার কোচিংয়ে খেলার সময়ই প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পায়। ও এমন একজন ফুটবলার যে মাঠে সবসময় নিজের সেরাটা দেয়।'
লেফট ব্যাক পজিশনে খেলার পাশাপাশি রাইট ব্যাক হিসেবেও খেলতে পারেন নিশু। তাঁকে দলে পেয়ে লাভবানই হবে ইস্টবেঙ্গল। এ প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থা ইমামির পক্ষ থেকে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নিশুর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র আছে। ফলে ও আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় ভালো হল। ও কোচ কার্লেসের সঙ্গে আইএসএল জিতেছে। আমাদের আশা, লাল-হলুদ জার্সি পরে সেরা পারফরম্যান্স দেখাবে নিশু।’
এখনও পর্যন্ত আইএসএল-এ ৮২টি ম্যাচ খেলেছেন নিশু। তিনি ১৮৯টি বল বিপদমুক্ত করেছেন, ৮২ বার বিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়েছেন, ৩টি গোল করেছেন এবং ২টি গোলের পাস বাড়িয়েছেন। মূলত ডিফেন্সিভ কোয়ালিটির জন্যই তাঁকে দলে নিল ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন-
বাবা হচ্ছেন, ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে গোল করে দেশকে জিতিয়ে ঘোষণা সুনীলের
১ বছরের চুক্তি ঘোষণা, হায়দরাবাদ এফসি থেকে ইস্টবেঙ্গলে বোরহা হেরেরা
কলম্বিয়ায় কার্লেস পুওল, বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে খেললেন ফুটবল