সংক্ষিপ্ত

ডুরান্ড জয় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। শনিবার, ডুরান্ড কাপের ফাইনালে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয় মোহনবাগান বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (Mohun Bagan vs North East United)। কার্যত, ঘরের মাঠেই সবুজ মেরুনকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিল নর্থ ইস্ট।

ডুরান্ড জয় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। শনিবার, ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুখোমুখি হয় মোহনবাগান বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (Mohun Bagan vs North East United)। কার্যত, ঘরের মাঠেই সবুজ মেরুনকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিল নর্থ ইস্ট। কিন্তু কেন হারতে হল আজ বাগানকে? 

খেলার প্রথমার্ধে খারাপ খেলেনি মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ম্যাচের ১১ মিনিটেই, পেনাল্টি থেকে জেসন কামিংসের (Jason Cummings) গোলে এগিয়ে যায় তারা। শুধু তাই নয়, প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লিস্টন কোলাসোর (Liston Colaco) পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত গোল করে মোহনবাগানকে আরও এগিয়ে দেন সাহাল আবদুল সামাদ (Sahal Abdul Samad)। ফার্স্ট হাফ শেষ হয় ২-০ ফলাফল নিয়েই।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (North East United)। খেলার ৫৫ মিনিটে, আজারাইয়ের (Ajaraie) গোলে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। কিন্তু এই ম্যাচে জয়ের জন্য যেন আলাদাই তাগিদ কাজ করছিল নর্থ ইস্টের খেলোয়াড়দের মধ্যে। আর সেই জায়গা থেকেই ম্যাচের ৫৮ মিনিটে, গুইলেরমোর (Guillermo) গোলে সমতা ফেরায় তারা। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনও গোল হয়নি। খেলার ফলাফল তখন ২-২।

আরও পড়ুনঃ

ডুরান্ড ফাইনাল জিতে নর্থ ইস্ট কোচ বললেন, ‘সঠিক পরিকল্পনা করেই আমরা মোহনবাগানকে হারিয়েছি’

শেষপর্যন্ত, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানে কার্যত বাজিমাৎ করলেন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের গোলরক্ষক গুরমিত সিং (Gurmeet Singh)। তিনি মোহনবাগানের দুটি পেনাল্টি রখে দেন। এদিন কার্যত, বিশাল কেইথকেও ছাপিয়ে গেলেন গুরমিত। শেষ অবধি টাইব্রেকারের লড়াইতে, ৪-৩ ব্যবধানে জিতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।

কিন্তু কেন হারতে হল আজ বাগানকে?

জোসে মোলিনা ভারতীয় ফুটবলে ফিরেছেন অনেকদিন বাদে। তাই বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি চোখে পড়ল। এদিন রক্ষণ দুর্বল হয়ে যায় অনেকটাই। ওদিকে ডুরান্ডের শুরু থেকেই ফিটনেসের সমস্যা দেখা যাচ্ছিল। সেটা ফাইনালে আরও প্রকট হল।

এছাড়া রক্ষণের দুই বিদেশির মধ্যে এখনও সঠিক সমন্বয় তৈরি হয়নি। খেলা দেখে যা বোঝা গেল। সেইসঙ্গে, নর্থ ইস্টের হার না মানা মানসিকতা এবং গুরমিত সিং-এর অনবদ্য গোলকিপিং।

এই বিষয়গুলিই হয়ত ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিল। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।