সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের শাসক দল ছাড়া রাজনীতির জগতের অন্য কেউ ছিলেন না। বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে ছিলেন বটে, কিন্তু তিনি রাজনৈতিক জগতের প্রতিনিধি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবেই আমন্ত্রিত ছিলেন কল্যাণ। তিনি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলারও বটে। ফলে তাঁর এই অনুষ্ঠানে থাকা স্বাভাবিক। ইস্টবেঙ্গল অ্যালামানাক উন্মোচন, সম্মান প্রদানের পাশাপাশি সঞ্চালকের অনুরোধে বক্তব্যও পেশ করেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ। তিনি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির কথাও বলেন। কোনও বিতর্কিত মন্তব্য বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি কল্যাণ। কিন্তু তিনি মঞ্চ ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক আক্রমণ করেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বাংলাদেশের অতিথিদের সামনে খেলার সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে রাজনীতি নিয়ে অনেকেই বিরক্ত।

এদিন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে কল্যাণের পাশাপাশি ছিলেন এআইএফএফ সচিব শাজি প্রভাকরণ-সহ একাধিক পদাধিকারী। কল্যাণ বলেন, ‘আমি ২ দিন আগে মোহনবাগান দিবসে ছিলাম। ওদের ১৯১১ সালের জয়জয়াকার নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমি একটা কথা বলতে চাইছিলাম, ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে ঐতিহ্য কী? ইউএসপি কী? ঐতিহ্য হল সমর্থক। আমরা যেমন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমকে বলি, তেমনই ফুটবলের উন্নতির চতুর্থ স্তম্ভ সমর্থকরা। সমর্থকরা যত বেশি আকৃষ্ট হবে, ফুটবলারদের যত বেশি উজ্জীবিত করতে পারবে, খেলার তত বেশি উন্নতি হবে। আমরা একটা সময় দেখেছি, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচে যে দল পরাজিত হত, তাদের সমর্থকরা আবেগের বশে অনেক সময় এমন ব্যবহার করতেন যা কাম্য নয়। এখন দেখলাম সমর্থকরা সারাক্ষণ গান গাইছে, খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করছে। এটা খুব সুন্দর। সমর্থকরা যখন এটা করবে, তখন একটা দল নিজেই উন্নতি করবে। আমরা যত বেশি আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলব, তত বেশি উন্নতি করব। আমাদের জাতীয় দল এ বছর ২৪টি ম্যাচ খেলছে। ইস্টবেঙ্গল আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলুক।’

পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, 'শুধু ভাষণ দিলেই হয় না। কলকাতা ফুটবল কারও দয়ায় চলছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএফএ ও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কলকাতা ফুটবল চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সব ক্লাবের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আর্থিক সাহায্য করছেন। তিনি প্রিমিয়ার লিগের সব ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলতে হবে।' অরূপের এই রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন-

ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা ইনভেস্টরদের, দিকে দিকে নানা অনুষ্ঠান সমর্থকদের

দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল, উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ক্লাবকে উড়িয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল

Emiliano Martinez: এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে সংবর্ধনা ইস্টবেঙ্গলের