সংক্ষিপ্ত
ষষ্টবারের মতো একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। ধারে ভারে এই দুই দলের মধ্যে বিশেষ তফাৎ নেই। এর আগে মুখোমুখি হলেও জয়ের নিরিখেও সমান দুই দল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পরে শেষ আটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে আমেরিকাকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে নেদারল্যান্ডস। শেষ আটের লড়াই মুখোমুখি হতে চলেছে দুই দল। মেসিদের জন্য এবারের পরীক্ষা আরও কঠিন হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই প্রথম নয়, বিশ্বকাপের ময়দানে এর আগেও পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই নিয়ে ষষ্টবারের মতো একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। ধারে ভারে এই দুই দলের মধ্যে বিশেষ তফাৎ নেই। এর আগে মুখোমুখি হলেও জয়ের নিরিখেও সমান দুই দল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে পাঁচবার একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছে এই দুই দল। এর মধ্যে দু'বার আর্জেন্টিনা জিতেছে এবং দু'বার জিতেছে নেদারল্যান্ডস। একটি ম্যাচে ড্র হয়। এবার ষষ্ঠবারে মুখোমুখি হয়ে কোন দল নিজেদের জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারে সেটাই এখন দেখার।
সাল ১৯৭৪, প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৪-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। তারপর দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল, সাল ১৯৭৮। এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। তারপরে ১৯৯৮ সালে ফের মুখোমুখি হয় দুই দল। এই ম্যাচে ফের নেদারল্যান্ডসের কাছে হার হয় আর্জেন্টিনার। নীল সাদা জার্সিধারীদের ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছয় নেদারল্যান্ডস। ২০০৬ সালে ফের আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র হয়। তারপর ২০১৪ সালে ফের সামনাসামনি দুই দল। টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। এবার ২০২২ সালে ফের একবার কোয়ার্টার ফাইনালে এই দুই দল। এখন দেখার ইতিহাস পালটে দিয়ে সেমি ফাইনালে কি পৌঁছতে পারবে আর্জেন্টিনা?
রবিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আরও একবার মেসি ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ মিস করেননি লিও। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ফের একবার জ্বালে বল জড়ালো আর্জেন্টিনার। এদিন ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমে গুডউইনের গোল বলা হলেও, পরে আত্মঘাতী গোল বলে জানায় ফিফা। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে সকারুজরা। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিরা সতর্ক ছিলেন। ফলে বাকি সময়টা গোল না খেয়ে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। মেসি-লটারো মার্টিনেজরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের পক্ষেও আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন -
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলছেন নেইমার, জানিয়ে দিলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে
সেনেগালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের সামনে ইংল্যান্ড
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের জঘন্যতম একাদশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো