সংক্ষিপ্ত

সাম্বার ছন্দে অনায়াসেই দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪ গোল দিল হলুদ জার্সিধারীরা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন নেইমার। জানান তাঁর অসুস্থতার দিনগুলির অভিজ্ঞতা।

'রাতের পর রাত কেঁদেছি', দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের পর আবেগঘন নেইমার। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে গোড়ালিতে চোট পান নেইমার। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে গ্রুপ পর্বের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে খেলতে পারেননি তিনি। নেইমারের শারীরিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে বিশ্ব কাপেই তিনি আর খেলতে পারবেন কি না সে বিষয়ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। অবশেষে চিকিৎসদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফল হয়। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামেন নেইমার। রাজার মতোই ফিরলেন তিনি। সাম্বার ছন্দে অনায়াসেই দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪ গোল দিল হলুদ জার্সিধারীরা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন নেইমার। জানান তাঁর অসুস্থতার দিনগুলির অভিজ্ঞতা।

দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে অবশেষে খেলতে দেখা গেল নেইমারকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেইমার জানান,'রাতের পর কেঁদেছি। আমার যা যা জানাছিল সমস্ত চেষ্টা করেছি। অবসশেষে তাঁর দাম পেয়েছি। প্রত্যেকদিন ভোর ৫-৬ পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলত। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নামার দিনও বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি চলেছে।' তিনি আরও বলেন,'খুবই ভয় ছিলাম। চোট পাওয়ার পর এতগুলো দিন পড়ে ফিরছি। আমি যখন আঘাত পেলাম সেই সময় অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, ভয়, সন্দেহ, অনিশ্চিয়তা। কিন্তু আমার পরিবার ও সতীর্থদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছি তা বলে বোঝানো যায়না। প্রত্যেকদিন সমর্থকরা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এগুলোই আমাকে শক্তি দিয়েছে। এবার এই বিশ্বকাপে দলকে জেতাতে আমি আমার প্রাণ দিয়ে খেলব। এটাই আমার লক্ষ্য।'

এদিন প্রথমার্ধের শেষেই ৪-০ গোলে এগিয়েছিল ব্রাজিল। ৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এরপর ১২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে দলের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এটাই এবারের বিশ্বকাপে নেইমারের প্রথম গোল। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচের ১৩ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করল ব্রাজিল। এর আগে ২০০২ বিশ্বকাপে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রথমবার ১৩ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। এই ম্যাচে ২০ বছর আগের পুনরাবৃত্তি হল। আরও নজির গড়ল ব্রাজিল। ২৯ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন রিচার্লিসন। ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে স্পেনের বিরুদ্ধে ৩১ মিনিটের মধ্যে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। তার চেয়েও কম সময়ে এদিন ৩ গোল করে ফেলল ব্রাজিল। এরপর ৩৬ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন লুকাস পাকুয়েতা। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর আরও সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল, কিন্তু আর গোল হয়নি। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারপর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে প্রথমার্ধেই ৪ গোল করল সেলেকাওরা।

আরও পড়ুন - 

বিধ্বস্ত দক্ষিণ কোরিয়া, অনায়াসে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল

দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা, প্রথমার্ধের শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল

রোনাল্ডোর আচরণে একেবারেই খুশি নন, প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন পর্তুগালের কোচ