সংক্ষিপ্ত

গ্রুপ সি-র শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডকে সহজেই ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। রবার্ট লেওয়ানডস্কিদের বিরুদ্ধে বেশ দাপট নিয়েই খেলল লিওনেল স্কালোনির দল। পোল্যান্ড বিশেষ লড়াই করতে পারল না।

গ্রুপ সি থেকে নক-আউটে যেতে হলে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ জিততেই হত আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল করতে পারেননি লিওনেল মেসিরা। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। তিনি এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বাঁ পায়ের অসাধারণ শটে গোল করেন। কিন্তু বিশ্বকাপে পরপর ৩ ম্যাচে গোল করার সুযোগ হারালেন লিও। তিনি পেনাল্টি মিস করার পর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। সেই সময় মনে হচ্ছিল আর্জেন্টিনা সমস্যায় পড়তে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। ৬৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জুলিয়ান আলভারেজ। এরপর আর পোল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না। ২-০ গোলে জিতে নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করল আর্জেন্টিনা। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সি-র শীর্ষেই থাকলেন মেসিরা। নক-আউটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

এদিনের ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের লক্ষ্যে আক্রমণে ঝাঁপান মেসিরা। ৬ মিনিটের মাথায় বিপক্ষ গোল লক্ষ্য করে প্রথম শট নেন মেসি। যদিও সেই শটে তেমন জোর ছিল না। এরপর ৮ মিনিটের মাথায় একটি শট নেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাঁর সেই শট একেবারেই দুর্বল ছিল। ১০ মিনিটের মাথায় ফের শট নেন মেসি। এবার সেভ করে দেন পোলিশ গোলকিপার। ১২ মিনিটের মাথায় একটি দুর্দান্ত দলগত আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই আক্রমণ থেকেও গোল হয়নি। ১৭ মিনিটে অ্যাকুনার উদ্দেশে বল বাড়ান মেসি। কিন্তু অ্যাকুনার শট বাইরে চলে যায়। এই ম্যাচের ৩০ মিনিটের মধ্যেই পোল্যান্ডের গোল লক্ষ্য করে ৭টি শট মারে আর্জেন্টিনা। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত কোনও দল প্রথমার্ধে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে এত শট মারতে পারেনি। 

৩৭ মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। যদিও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মেসি অবশ্য সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। 

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ম্যাচের রং বদলে যায়। ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলটাই পোল্যান্ডের উদ্যম শেষ করে দেয়। এরপর দ্বিতীয় গোল ম্যচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। শেষদিক গোল করার চেষ্টা ছেড়ে আর যাতে গোল না খেতে হয়, সেই চেষ্টাই করছিলেন পোলিশ ফুটবলাররা। কারণ, মেক্সিকো-সৌদি আরব ম্যাচের ফলের দিকে তাঁদের নজর ছিল। শেষপর্যন্ত আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ড, ২ দলেরই লক্ষ্য সফল হল।

আরও পড়ুন-

বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও, শেষ ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক টিউনিশিয়ার

বিশ্বকাপের মাঝেই ফের অসুস্থ, হার্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পেলে

ছিটকে গেল ইরান, নক-আউটে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস, সেনেগাল