সংক্ষিপ্ত

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন পর্তুগালের কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস। এবার তিনি কিংবদন্তি লুই ফিগোর তোপের মুখে পড়লেন।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে না রেখে মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যাওয়ার পর কিংবদন্তি লুই ফিগোর আক্রমণের মুখে পড়লেন কোচ ফেরান্দো স্যান্টোস। ফিগোর দাবি, এই হারের জন্য দায়ী ফেরান্দো। বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ফিগো বলেছেন, 'রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখে আপনি ফুটবল ম্যাচ জিততে পারেন না। ঠিক আছে, আপনি সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন। দুর্দান্ত ফল। কিন্তু আপনি কি প্রতিটি ম্যাচেই এভাবে জয় পেতে পারেন? না। রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা ভুল ছিল। এই হারের দায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচের। তাঁদের দায় নিতেই হবে।' পর্তুগাল এভাবে হেরে যাওয়ায় প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে হতাশ ফিগো। কিন্তু তিনি আরও বেশি হতাশ কোচ দলের সেরা খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে না রাখায়। সেই কারণেই তিনি কোচকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এই হার মেনে নিতে পারছেন না ফিগো। সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের মতো তিনিও হতাশ।

এটাই ছিল রোনাল্ডোর শেষ বিশ্বকাপ। তিনি এবার দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর লক্ষ্যে কাতারে এসেছিলেন। মাঠের বাইরের বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে জাতীয় দলের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছিলেন 'সি আর সেভেন'। গ্রুপ পর্বে তিনি ভাল খেলতে পারেননি। ৩ ম্যাচে মাত্র ১ গোল করেন। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের জঘন্যতম একাদশে রাখা হয় এই তারকাকে। নক-আউটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এর জবাব দিতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডো। কিন্তু নক-আউটে ২ ম্যাচেই তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। ফলে তিনি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য খুব বেশি সময় পাননি। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষদিকে নামেন রোনাল্ডো। সেই সময় দল বড় ব্যবধানে জিতছিল। ফলে সেই সময় আর গোলের জন্য় বিশেষ চেষ্টা করতে হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নামানো হয় রোনাল্ডোকে। সেই সময় পিছিয়েছিল পর্তুগাল। ফলে প্রচণ্ড চাপ নিয়ে খেলতে হয় তাঁকে। সতীর্থদের কাছ থেকে খুব বেশি সাহায্য পাননি। ফলে তাঁর পক্ষে দলকে জেতানো সম্ভব হয়নি।

মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচে এক অসাধারণ নজির গড়েন রোনাল্ডো। দেশের হয়ে তিনি ১৯৬ ম্যাচ খেলে ফেললেন। যুগ্মভাবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন রোনাল্ডো। কিন্তু ব্যক্তিগত নজিরের পরেও তাঁকে কাতার থেকে খালি হাতেই দেশে ফিরতে হচ্ছে। তাঁর শেষ বিশ্বকাপ হতাশাজনকভাবেই কাটল। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না তিনি।

আরও পড়ুন-

চোখের জলে বিশ্বকাপ শেষ রোনাল্ডোর, পর্তুগালকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে মরক্কো

বিশ্বকাপ জেতাই স্বপ্ন ছিল, সেটা শেষ হয়ে গেল, আবেগপ্রবণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো

আমি ভুল করেছি, দলের হারের দায় নিচ্ছি, পেনাল্টি মিস নিয়ে বললেন হ্যারি কেন