সংক্ষিপ্ত

এবার কি ফুটবলাররাও ধর্মঘটে শামিল হবেন? প্রতিবছর পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রতিযোগিতা। স্বভাবতই, বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যাও। এত ম্যাচ খেলতে খেলতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররাও।

এবার কি ফুটবলাররাও ধর্মঘটে শামিল হবেন? প্রতিবছর পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রতিযোগিতা। স্বভাবতই, বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যাও। এত ম্যাচ খেলতে খেলতে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররাও।

তাই এবার হয়ত তারা ধর্মঘট ডাকতে পারেন। অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির (Manchester City) ইউরো জয়ী মিডফিল্ডার রদ্রি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (UEFA Champions League)। বুধবার, ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে সিটি। তার আগে রদ্রি জানিয়েছেন, “মনে হয় আমরা সেই বিষয়টার খুব কাছাকাছি রয়েছি। পরিস্থিতি বোঝা খুবই সহজ। যে কোনও খেলোয়াড়কে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। শুধু আমি নয়, সবাই কিন্তু একই কথা বলবে। সবার মতামত প্রায় একই।”

তিনি আরও যোগ করেছেন, এইভাবে চলতে থাকলে একটা সময় আসবে, যখন কেউ আর কোনও মতামত দেবে না। আমরা সত্যিই চিন্তিত হয়ে পড়ছি। কারণ, দুর্ভোগটা আমাদেরই সহ্য করতে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ইপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপ ছাড়াও সিটিকে পরের বছর খেলতে হবে ক্লাব বিশ্বকাপ। এমনকি, কিছুদিন আগে ফুটবলারদের সংস্থা ফিফপ্রোও এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

রদ্রি বলছেন, ফুটবলাররা বছরে ৪০-৫০টি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। কিন্তু ৬০-৭০টি ম্যাচে সেই পর্যায়ের পারফরম্যান্স করা কখনোই সম্ভব নয়। তাঁর মতে, “আমাদের প্রচুর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। নিজেদের শরীরের যত্নও তো নিতে হবে। আমাদের কথাও অন্তত কেউ ভাবুক। কারণ, আমরাই এই খেলা বা ব্যবসার আসল চরিত্র।”

সবমিলিয়ে, লাগাতার ফুটবলে কিন্তু খেলোয়াড়দের মধ্যেও ক্ষোভ জন্মাচ্ছে। তারই বহিঃপ্রকাশ হল এই মন্তব্য। কারণ, টানা ম্যাচ খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।