সংক্ষিপ্ত
অনলাইনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। নানাভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে জালিয়াতরা। এই ফাঁদে পা দিলেই মানুষের সর্বনাশ হচ্ছে।
জালিয়াতির কবলে প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। তাঁর ১৭ লক্ষেরও বেশি টাকা খোয়া গেল। এই কিংবদন্তি জানিয়েছেন, 'কী করে এরকম হল বুঝতে পারছি না। আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করি না। আমার কাছে কোনও ফোন আসেনি, ওটিপি আসেনি। তারপরেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেল। আমি ব্যাঙ্কে চাকরি করেছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ব্যাঙ্কেও বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ আমার খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধারের আশ্বাস দিয়েছে। এইটুকু টাকাই আমার ভরসা ছিল। এবার কী হবে জানি না।' এই ঘটনায় ফুটবল মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ফুটবলপ্রেমীরা প্রিয় বাবলুদার বিপদে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন।
একটি ব্যাঙ্কের পার্ক স্ট্রিট শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে সুব্রতর। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছে টাকা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পেরেই ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করেন সুব্রত। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। এরপর প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানা, তারপর বাড়ির কাছে গল্ফ গ্রিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এই প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ। কিন্তু পুলিশ এখনও খোয়া যাওয়া টাকার সন্ধান পায়নি। ফলে চিন্তা বাড়ছে সুব্রতর। তবে তিনি এখনও আশায় আছেন, পুলিশ ঠিকই জালিয়াতদের সন্ধান পাবে এবং টাকা উদ্ধার করতে পারবে।
মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত অত্যন্ত জনপ্রিয়। সবুজ-মেরুন জার্সি পরে তিনি যে সাফল্য পেয়েছেন, সেরকম সাফল্য খুব কম ফুটবলারেরই আছে। অবসর নেওয়ার পর কোচ হিসেবেও বেশ সফল সুব্রত। তাঁর কোচিংয়ে জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান। কোনওদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে না খেললেও, ২০০৭ সালে লাল-হলুদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন সুব্রত। তাঁর কোচিংয়ে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। বেশিদিন অবশ্য লাল-হলুদের কোচের পদে থাকা হয়নি সুব্রতর। বিতর্কে জড়িয়ে সরে যেতে বাধ্য হন তিনি।
সুব্রত বরাবরই বিতর্কিত চরিত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। ময়দানের সঙ্গে যোগাযোগও কমে গিয়েছে। কিন্তু এখনও মাঝেমধ্যে শহরতলিতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে দেখা যায় তাঁকে। মোহনবাগানের প্রতি টান আগের মতোই আছে। তবে বর্তমান কর্মকর্তাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ। তাঁর দাবি, বর্তমান কর্তারা মোহনবাগানের ঐতিহ্য, ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সেই কারণেই এখন আর সেভাবে সবুজ-মেরুন তাঁবুতে আসেন না সুব্রত। বাড়িতেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটান তিনি।
আরও পড়ুন-
ইস্টবেঙ্গলের নতুন সহকারী কোচ বেঙ্গালুরুর হয়ে আইএসএল জেতা দিমাস দেলগাদো
ভারতে থাকার সময় আমিও বৈষম্যের শিকার হয়েছি, বিস্ফোরক ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ
Bengaluru FC: হেড না ক্যাচ? কোচের সঙ্গে মজার খেলায় সুনীল ছেত্রী-রয় কৃষ্ণরা