সংক্ষিপ্ত
কয়েকদিন পরেই ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কুয়েতের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। এই ম্যাচ ঘিরে কলকাতায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
কুয়েতের বিরুদ্ধে আগামী ৬ জুন বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ধারণী ম্যাচ। আর সেই ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চলছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। কলকাতার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কয়েকদিন আগেই কলকাতা পৌঁছে যাবে দল, জানালেন জাতীয় দলের হেডস্যার ইগোর স্টিমাচ। এই ম্যাচকে ঘিরে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভুবনেশ্বরে ক্যাম্প চলছে জাতীয় ফুটবল দলের। বৃহস্পতিবার এই ম্যাচের জন্য ২৭ জনের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সাফ কাপ এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের পর আসন্ন কুয়েত ম্যাচেও জয় চাইছেন স্টিমাচ। তিনি জানিয়েছেন, “এখানে বেশ গরম এবং আর্দ্রতা রয়েছে। তবে আমরা অনুশীলন বেশ উপভোগ করছি। ভুবনেশ্বরে আমরা সত্যিই অনেক সুবিধা পাচ্ছি। সেইসঙ্গে আতিথেয়তা অসাধারণ। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। যাতে আমরা কলকাতার আবহাওয়া এবং আর্দ্রতার সঙ্গে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারি এবং ম্যাচে নামার জন্য প্রস্তুত হতে পারি।”
টিকিট নিয়ে হাহাকার
প্রসঙ্গত, এই ম্যাচটি সুনীল ছেত্রীর ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ব্লু-টাইগার্সদের কাছে কার্যত মরণবাঁচন ম্যাচ। তার থেকেও বড় বিষয় হল, ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম তারকা সুনীল ছেত্রীর শেষ ম্যাচ। আর তাই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশই। সেইসঙ্গে, ফুটবলপ্রেমী বাঙালির ঘরের মাঠে আয়োজিত হতে চলেছে এই ঐতিহাসিক ম্যাচ।
অন্যদিকে, এই ম্যাচের টিকিটও কাটা যাচ্ছে অনলাইনে। বুক মাই শো-তে গিয়েই এই ম্যাচের টিকিট কাটতে পারবেন সুনীল ফ্যানরা। টিকিটের দাম শুরু হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে। এছাড়াও রয়েছে, ১৫০, ২০০, ২৫০, ৩০০, ৩৫০ এবং ১০০০ টাকা দামের টিকিট। জানা যাচ্ছে টিকিট প্রায় শেষ। নিঃসন্দেহে বোঝা যাচ্ছে যে, ম্যাচের গুরুত্ব ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে।
আত্মবিশ্বাসী ভারতের কোচ
আর এরই মাঝে স্টিমাচ বলছেন, “আমি ছেলেদের সঙ্গে সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তারা জানে যে কিভাবে তাদের কাজ করতে হবে। এই মুহূর্তে আমি এটুকুই বলব যে, আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “সুনীল ছেত্রীর বিদায়ী ম্যাচ। আমরা আশা করি সল্টলেক স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ থাকবে সেদিন। আমি নিশ্চিত যে, সমর্থকরা জয়ের জন্য আমাদের ছেলেদের সম্পূর্ণ সমর্থন করবে। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে, ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর আমরা একসঙ্গে জয়ের উদযাপন করব।” এখন দেখার বিষয় এটিই যে, শেষপর্যন্ত ব্লু-টাইগার্সরা কিরকম ফুটবল উপহার দেয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।