সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই নবম ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে পদ্মশ্রী পেয়েছেন আইএম বিজয়ন।
এদিকে পদ্মশ্রী প্রাপক হিসেবে আইএম বিজয়নের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই, আপ্লুত হয়ে পড়েছেন ভারতীয় ফুটবলের ‘কালো হরিণ’ হিসেবে পরিচিত কেরালার এই প্রাক্তন তারকা ফুটবলার।
আর পদ্মশ্রী পাওয়ার পর বিজয়ন জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্মকে ফুটবল খেলতে উৎসাহ প্রদান করবে এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, “দীর্ঘদিন দেশের হয়ে খেলার পর এই স্বীকৃতি পেয়ে সত্যিই আমি ভীষণ অভিভূত। আমার এই পুরস্কার প্রাপ্তি ভারতীয় ফুটবলকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে, তা আমি বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এই সিদ্ধান্ত দেশের কিছু তরুণ ফুটবলারকে অনেক উৎসাহিত করবে।”
অন্যদিকে, ৫৫ বছর বয়সী এই প্রাক্তন কিংবদন্তি ফুটবলার বর্তমানে মালাবার পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। সেইসঙ্গে, আইএম বিজয়ন কেরালা পুলিশ ফুটবল দলের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চিফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, নয়ের দশকের সেরা স্ট্রাইকার নিজের এই সম্মানকে উৎসর্গ করতে চান দেশের সকল ফুটবল সমর্থকের প্রতি। তিনি বলেন, “আমার এই পুরস্কার আমি উৎসর্গ করছি ভারতীয় ফুটবলের সকল সমর্থকদের জন্য। তার কারণ, ওরা ছিল বলেই আমি আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি নিজে বলতে পারব না, আমি কত বড় ফুটবলার ছিলাম। কিন্তু এটা জানি যে, পুরো ফুটবল জীবনে আমি প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি।”
প্রসঙ্গত, দেশের জার্সি গায়ে ৮৮টি ম্যাচে ৩৯টি গোল করেছেন বিজয়ন। তিনি দেশের জার্সি গায়ে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন সেই ১৯৯১ সালে। সেটি ছিল নেহরু কাপ। সেই ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ ছিল রোমানিয়া। তারপর থেকে টানা ১২ বছর দেশের হয়ে ফুটবল খেলেছেন তিনি।
এরপর ২০০৩ সালে, আফ্রো এশিয়ান গেমস খেলে তিনি জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভাঙন ধরাতেন তরুণ বাইচুং ভুটিয়া। মোট তিনবার এআইএফএফ-এর বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজয়ন। আর গত ২০০৩ সালে, অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।