সংক্ষিপ্ত
কার্লেস কুয়াদ্রাতের বিদায়ের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ফের হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। এবারের আইএসএল-এ এখনও পয়েন্ট পেল না বিনো জর্জের দল। ফলে লাল-হলুদ শিবিরে অস্বস্তি চরমে।
চলতি আইএসএল-এ কি খেলার যোগ্য ইস্টবেঙ্গল দল? না, নিন্দুকরা নন। এই প্রশ্ন তুলে দিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাই। শনিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধেও হারের পর দলের উপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। গত ম্যাচে হারের পর তৎকালীন প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের উপর যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়েছিল। কিন্তু শনিবার অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ বিনো জর্জ নন, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নিশানায় ফুটবলাররা। অনেক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই বলছেন, এভাবে আইএসএল-এ খেলে লজ্জাজনক ফলের বদলে আই লিগে খেলা ভালো। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে লাল-হলুদ শিবিরের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে। ফুটবলারদের হাতের সামনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
সুযোগ নষ্ট করে হার ইস্টবেঙ্গলের
শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েও ০-২ হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচের চেয়ে এদিন ভালো পারফরম্যান্স দেখায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু ক্লেইটন সিলভা, নন্দকুমার শেখররা একের পর এক সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সল ক্রেসপো। ২১ মিনিটে লাল-হলুদ রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রথম গোল করে জামশেদপুর এফসি-কে এগিয় দেন রেই তাচিকাওয়া। এরপর ৭০ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন লালচুংনুঙ্গা। এরপর আর ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না।
কবে আসবেন নতুন কোচ?
বিনোকে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেওয়া হলেও, ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট প্রধান কোচ হিসেবে একজন বিদেশিকেই আনতে চলেছেন। তবে কে কোচ হবেন এবং কবে কলকাতায় আসবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। নতুন কোচ এলেও দলের খেলায় কোনও বদল হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'গো ব্যাক' বলেছিলেন সমর্থকরা, তাঁদেরই শুভেচ্ছা জানিয়ে কলকাতা ছাড়লেন কার্লেস কুয়াদ্রাত
বাংলাদেশে সাফল্য পেয়েছেন, এবার ইস্টবেঙ্গলের হাল ধরবেন এই স্প্যানিশ কোচ?
'আইএসএল-এ একটা ম্যাচে জয় পেলেই ছন্দ ফিরে পাবে দল,' আত্মবিশ্বাসী বিনো জর্জ