সংক্ষিপ্ত

শনিবার থেকে ভারতীয় ফুটবল মহলে রেফারি হরিশ কুণ্ডুকে নিয়ে আলোচনা চলছে। এই রেফারি সম্পর্কে নিজের মতামত জানালেন অপর এক প্রাক্তন বিতর্কিত রেফারি বিষ্ণু চৌহান।

বিষ্ণু চৌহান, মোহনবাগান সমর্থকরা কোনওদিন এই রেফারির নাম ভুলতে পারবেন না। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগানের তৎকালীন প্রাণভোমরা নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ওডাফা ওকোলিকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন বিষ্ণু। এরপরেই গ্যালারি থেকে উড়ে এসেছিল ইট। যা রেফারির বদলে মোহনবাগানের তারকা সৈয়দ রহিম নবির মুখে লেগেছিল। নবিকে এর জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার পর সেদিন আর মাঠে নামেনি মোহনবাগান দল। শনিবার আইএসএল-এ মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে ৩০ মিনিটের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের দুই উইঙ্গার নন্দকুমার শেখর ও নাওরেম মহেশ সিং লাল কার্ড দেখার পর ২০১২ সালের সেই কলকাতা ডার্বি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা শনিবারের ম্যাচের রেফারি হরিশ কুণ্ডুকে গালিগালাজ করছেন।

হরিশ সম্পর্কে কী মত বিষ্ণুর?

এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ১২ বছর আগের বিতর্কিত কলকাতা ডার্বির রেফারি বিষ্ণু জানালেন, 'গতকালের ম্যাচ আমি দেখিনি। তবে হরিশ কুণ্ডুকে আমি চিনি-জানি। ও দেশের অন্যতম সেরা রেফারি। কোনও রেফারিই ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করে না। ভারতীয় রেফারির যথেষ্ট ভালোভাবে ম্যাচ পরিচালনা করে। দেশের সেরা রেফারিদেরই বড় ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। হরিশ কুণ্ডুও যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিশ্চয়ই ভালো মনে করেছে। রেফারিদের মতোই খেলোয়াড়রাও চায় না সমস্যা হোক। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সমর্থকরা সবসময় চায় ওদের দল জিতুক। সমর্থকদের জন্যই সমস্যা তৈরি হয়।'

ওডাফাকে কেন লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন?

১২ বছর আগের ঘটনা সম্পর্কে বিষ্ণু জানালেন, 'সেদিন ওডাফা আমার চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিতে গিয়েছিল। এই কারণেই ওকে লাল কার্ড দেখাতে হয়েছিল। রেফারির প্রতি এরকম আচরণ করা যায় না। রেফারির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে খেলোয়াড়দের।'

এক যুগের ব্যবধানে দুই কলকাতা ডার্বিতে কোথায় মিল-অমিল?

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতা ডার্বিতে প্রথমার্ধের শেষদিকে ইস্টবেঙ্গলের গোলদাতা হরমনজ্যোত খাবরাকে ফাউল করেন মোহনবাগানের রাইট ব্যাক নির্মল ছেত্রী। এরপরেই রেফারির দিকে তেড়ে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন ওডাফা। শনিবার ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান স্পোর্টিং ম্যাচের ২৮ মিনিটে বলের দখল নেওয়ার সময় নন্দকুমারের জার্সি টেনে ধরেন অমরজিৎ সিং কিয়াম। পাল্টা বাঁ হাত চালান নন্দকুমার, যা অমরজিতের মুখে লাগে। রেফারি অমরজিৎকে হলুদ কার্ড দেখানোর পর নন্দকুমারকে লাল কার্ড দেখান। এর ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যে মেজাজ হারিয়ে মাঠে পড়ে থাকা জলের বোতলে লাথি মারেন মহেশ। রেফারি তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। ২০১২ সালে প্রথমার্ধের পর খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও, শনিবার গ্যালারি শান্ত ছিল। ফলে পুরো সময় খেলা হয়।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ৯ জনের লড়াই, চলতি আইএসএল-এ প্রথম পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের

'৯-১১' চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরিকল্পনা কী ছিল? লড়াইয়ের রহস্য ফাঁস ইস্টবেঙ্গল কোচের

'এই ম্যাচে পয়েন্ট পাওয়া ইস্টবেঙ্গলের মনোবল বাড়াবে,' মানছেন মহামেডান কোচ