সংক্ষিপ্ত

বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল-এটিকে মোহনবাগান ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই। কলকাতার দুই প্রধানের ফুটবলাররাই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেন। উপভোগ্য ম্যাচ হল।

কলকাতা ডার্বিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই নায়ক হয়ে গিয়েছেন অনেক ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে একাধিক বিদেশি ফুটবলারও আছেন। শনিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই তালিকায় সংযোজিত হল মন্টেনেগ্রোর ডিফেন্ডার স্লাভকো দামানোভিচের নাম। তাঁর ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটসের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ হারিয়ে দিল এটিকে মোহনবাগান। ৬৮ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন দামানোভিচ। এরপর ৯০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন পেট্রাটস। এবারের আইএসএল-এর প্রথম ডার্বির মতোই দ্বিতীয় লেগেও প্রথমার্ধে লড়াই করার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। বড় ম্যাচ জিততে গেলে দুই অর্ধেই সমান পারফরম্যান্স জরুরি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন যেমন কোনও উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখাতে পারেন না, তেমনই দলের ফুটবলারদের উজ্জীবিতও করতে পারেন না। তার ফলেই ফের ডার্বি হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। টানা ৮টি কলকাতা ডার্বি জিতল এটিকে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা এদিনের ডার্বি বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। লাল-হলুদ জনতার জন্য নির্দিষ্ট গ্যালারির বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা ছিল। এরই মধ্যে যাঁরা ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন, তাঁদের হতাশ হয়েই ফিরতে হল।

ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কমলজিৎ সিং, চার ডিফেন্ডার সার্থক গলুই, কিরিয়াকু, লালচুংনুঙ্গা ও জেরি এদিন শুরু থেকেই ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিলেন। মাঝমাঠে চনমনে দেখাচ্ছিল মোবাশির রহমানকে। লেফট উইংয়ে দুর্দান্ত খেলছিলেন নাওরেম মহেশ সিং। রাইট উইংয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিলেন ভি পি সুহের। তবে কিছুটা নিষ্প্রভ ছিলেন দুই স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা ও জেক জার্ভিস। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিলেন আশিস রাই, আশিক কুরুনিয়ান, গ্লেন মার্টিনস, হুগো বুমোস, দিমিত্রিয়স পেট্রাটস। দ্বিতীয়ার্ধে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের আক্রমণের ধার বাড়ে। তার ফলে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল

প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের লক্ষ্যে ঝাঁপায় এটিকে মোহনবাগান। ৫২ মিনিটে আশিকের থ্রু থেকে পেট্রাটসের বাঁ পায়ের পুশ পোস্টে লেগে মাঠের বাইরে চলে যায়। ফলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের এগিয়ে যাওয়ার সহজতম সুযোগ নষ্ট হয়। খেলা যত গড়াতে থাকে ততই এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের চাপ বাড়তে থাকে। ইস্টবেঙ্গলও মাঝেমধ্যে পাল্টা আক্রমণে ওঠে। ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জার্ভিসের শট বাইরে চলে যায়। ৬৭ থেকে ৬৮ মিনিটের মধ্যে পরপর তিনটি কর্নার পায় এটিকে মোহনবাগান। তৃতীয় কর্নার থেকে দামানোভিচের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই বলই তিনি গোলে ঠেলে দেন। ফলে ১-০ এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ম্যাচের আগে দামানোভিচ বলেছিলেন, তিনি ক্লেইটনকে গোল করতে দেবেন না। কথা রাখলেন সবুজ-মেরুনের এই ডিফেন্ডার। দামানোভিচের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের শেষদিকে দ্বিতীয় গোল পায় এটিকে মোহনবাগান। শুরু থেকেই গোলের জন্য় ঝটফট করতে থাকা পেট্রাটস একাধিক সুযোগ নষ্ট করার পর শেষে গোল পান।

আরও পড়ুন-

বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী ফুটবলার, সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন আলিশা লেম্যান

যে কোনও দলকে হারাতে পারে ম্যান ইউ, বার্সার বিরুদ্ধে জয়ের পর বার্তা কোচের

মেসি, বুসকেটসকে দলে নিতে আগ্রহী ইন্টার মায়ামি, জানালেন কোচ ফিল নেভিল