সংক্ষিপ্ত
রাজনীতির জাঁতাকলে পিষে যেতে চলেছে বাঙালির আবেগের বড় ম্যাচ। ১০ মার্চ কলকাতা ডার্বির দিনই তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে কলকাতা ডার্বি।
বাঙালির ফুটবল বড় না রাজনীতি? খুব তাড়াতাড়ি উত্তর পাওয়া যাবে। ১০ মার্চ আইএসএল-এ কলকাতা ডার্বির সূচি আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেই দিনই ব্রিগেডে জনসভার ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে জনসভার মাধ্যমে রাজনীতির ডার্বিতে গোল করে এগিয়ে যেতে না পারেন, সেই লক্ষ্যে প্রতি-আক্রমণ করতে চাইছেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। ১০ মার্চই সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে সারা রাজ্যের ১০টি জায়গায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের একচেটিয়া অধিকারে থাকা উত্তরবঙ্গেও সভা করবে বামেরা। এভাবেই সারা মাঠ জুড়ে খেলে রাজ্যের শাসক দলের উপর চাপ তৈরি করতে চাইছে বামেরা। রাজনীতির ডার্বির ফলে হয়তো বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লাল-হলুদ বনাম সবুজ-মেরুন ম্যাচ পিছিয়ে যাবে। যদিও এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা ডার্বি?
তৃণমূল কংগ্রেস ১০ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন সভার ডাক দেওয়ার পর থেকেই কলকাতা ডার্বি পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত ঠিক ছিল, নির্দিষ্ট দিনেই হবে লাল-হলুদ বনাম সবুজ-মেরুন লড়াই। তবে এরই মধ্যে সিপিআইএম ১০টি জায়গায় সভার ডাক দেওয়ায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। বড় ম্যাচে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে বিধাননগর পুলিশ। বিধাননগরে যদি রাজনৈতিক সভা না থাকে বা বিধাননগর কমিশনারেট থেকে অন্য জায়গায় পুলিশকর্মীদের নিয়ে যাওয়া না হয়, তাহলে অবশ্য ১০ মার্চই কলকাতা ডার্বি হতে পারে।
অন্য শহরে সরে যাবে কলকাতা ডার্বি?
এবারের কলকাতা ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ। ফলে অন্য শহরে এই ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইবে না লাল-হলুদ শিবির। ১০ মার্চ রাজনীতির লড়াইয়ের জন্য কলকাতা ডার্বি আয়োজন সম্ভব না হলে অন্য দিন বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই হতে পারে ম্যাচ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
East Bengal: কলকাতা পৌঁছে রিহ্যাব শুরু, কবে মাঠে নামবেন সল ক্রেসপো?
East Bengal: 'রেফারিং নিয়ে অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই,' ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা সের্জিও লোবেরার