সংক্ষিপ্ত

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এখনও পরপর ২ ম্যাচে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধেও সেই ধারা বদলাল না।

 

মরসুমের শুরুতে অনেকে বলছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন রক্ষণ সংগঠন খুব ভাল করতে পারেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার কোনও প্রতিফলনই নেই। এই মরসুমে খুব কম ম্যাচই এমন হয়েছে যেদিন গোল হজম করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গোল না খেয়ে জিতেছিলেন ক্লেটন সিলভা, ভিপি সুহেররা। শুক্রবার ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল হেরে গেল ২-৪ গোলে। প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল হজম করল লাল-হলুদ রক্ষণ। অধিনায়ক ইভান গঞ্জালেজ, রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়, পরিবর্ত সার্থক গলুই, লেফট ব্যাক প্রীতম সিং, সবাই একসঙ্গে খারাপ খেললে যা হওয়ার সেটাই হল। এদিন হেরে ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৮ নম্বরেই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, এই ম্যাচ জিতে ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে ৩ নম্বরে উঠে এল ওড়িশা। এরপর ২৭ নভেম্বর অ্যাওয়ে ম্যাচে জামশেদপুরের মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ২৪ নভেম্বর পরের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসি-র মুখোমুখি হবে ওড়িশা।

এই ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে কিন্তু মনে হয়নি ইস্টবেঙ্গল এভাবে হেরে যাবে। ২২ মিনিটেই প্রথম গোল করে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রতি-আক্রমণে গোল আসে। মাঝমাঠ থেকে জর্ডান ও'ডোহার্টি থ্রু বাড়ান সুহেরকে। সেই বল ধরে সেম্বোই হাওকিপের দিকে মাইনাস করেন সুহের। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা হাওকিপ শুধু বল গোলে ঠেলে দেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সুহের বল ধরার আগে অফসাইডে ছিলেন হাওকিপ। গোল করার সময় অবশ্য তিনি অনসাইডই ছিলেন। ৩৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন নাওরেম মহেশ সিং। লেফট উইং থেকে সুহেরের মাইনাসে পা ছুঁইয়ে মহেশ গোল করেন।

বিরতির ঠিক আগেই গোল পেতে পারত ওড়িশা। একটি নিরীহ শট লাল-হলুদ গোলকিপার কমলজিতের হাত ফস্কে বারে লেগে ফিরে আসে। সেই বল কোনওরকমে বিপদমুক্ত করেন ইভান।

বিরতির পর ওড়িশার কোচের একটা পরিবর্তনই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। তিনি আইজ্যাক ভ্যানমালসাওমার বদলে নামান পেড্রো মার্টিনকে। মাঠে নেমেই পরপর ২ গোল করেন পেড্রো। প্রথমে ৪৭ মিনিটে ইভানের ভুলের সুযোগ নিয়ে ব্যবধান কমান পেড্রো। পরের মিনিটেই বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে তিনি হেড করেন। বল কমলজিতের হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।

চোট পেয়ে ৫২ মিনিটে মাঠ ছাড়েন কিরিয়াকু। তাঁর বদলে নামেন অ্যালেক্স লিমা। এরপর আরও ছন্নছাড়া হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের খেলা। ৬৫ মিনিটে গোল করে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন জেরি। ইস্টবেঙ্গলের লেফট ব্যাক প্রীতম তাঁকে বাধা দিতে পারেননি। ৭৬ মিনিটে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁযা জোরাল শটে গোল করে যান নন্দ কুমার। তাঁকে আটকাতে পারেননি সদ্য নামা সার্থক। এরপরেও গোল পেতে পারত ওড়িশা। তবে ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা বাড়েনি।

আরও পড়ুন-

লিগ টেবলে অবস্থান ধরে রাখার লড়াই, গোয়া থেকেও ৩ পয়েন্টই লক্ষ্য বাগানের

শেষমুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল, কাতার বিশ্বকাপে সব স্টেডিয়ামেই নিষিদ্ধ অ্যালকোহল

ব্রাজিলজুড়ে ধরপাকড়, বিক্ষোভ, বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহই নেই ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন তারকার