Indian Super League: ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চালু হওয়ার পর এক দশক কেটে গিয়েছে। এই লিগ এখন ভারতীয় ফুটবলের প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু এবার এই লিগ হবে কি না, সে বিষয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে ভারতীয় ফুটবল বিশ বাঁও জলে।

DID YOU
KNOW
?
আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা
২০১৪ সালে শুরু হয় আইএসএল। কিন্তু এবার এই লিগ আদৌ হবে কি না, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

All India Football Federation: এবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (Indian Super League) শুরু করা সম্ভব হবে না অন্য কোনও টুর্নামেন্টের মাধ্যমে কোনওরকমে মরসুম শেষ করা হবে? বৃহস্পতিবার ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (All India Football Federation) সভাপতি কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) বৈঠকেও ধোঁয়াশা কাটল না। অবশ্য এই বৈঠক নেহাতই আনুষ্ঠানিকতা ছিল। কারণ, আইএসএল-এর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই এআইএফএফ-এর। ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (Football Sports Development Limited) এত বছর ধরে আইএসএল চালিয়ে এসেছে। এআইএফএফ-এর সঙ্গে এই সংস্থার চুক্তি নবীকরণ নিয়ে জটিলতার কারণেই আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কল্যাণ দাবি করেন, আইএসএল হবেই। কিন্তু কীভাবে হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। আইএসএল না হওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে বিকল্প লিগের প্রস্তাবও দিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি। কিন্তু ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সেই প্রস্তাব মানবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

আইএসএল-এর আগে সুপার কাপ

আইএসএল কবে শুরু হবে বা আদৌ হবে কি না, সে বিষয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কিছু বলতে পারেননি কল্যাণ। তবে তিনি জানিয়েছেন, এবার সুপার কাপ হবে। ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2025) শেষ হওয়ার পর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হতে পারে সুপার কাপ। তবে এখনও সুপার কাপের ফর্ম্যাট ও সূচি ঠিক হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ফেডারেশন। কিন্তু সুপার কাপের কী হবে, সে বিষয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা।

ফুটবলারদের পাশে নেই এআইএফএফ

আইএসএল নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরে ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। ফ্র্যাঞ্চাইজির যাবতীয় কাজকর্ম স্থগিত করে দিয়েছে চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC), ওড়িশা এফসি (Odisha FC)। মুম্বই সিটি এফসি-ও (Mumbai City FC) একই পথে হাঁটতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া ফুটবলারদের পাশে থাকার বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির উপর সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিচ্ছেন কল্যাণ। তিনি বলেছেন, 'ফুটবলার এবং স্টাফদের বেতন দেওয়া ক্লাবের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আমরা সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। সমস্ত শীর্ষস্থানীয় লিগেই এমন হয়।' কিন্তু শীর্ষস্থানীয় লিগগুলি পরিচালনা করে ফেডারেশন। ভারতের মতো বেসরকারি সংস্থার হাতে দেশের প্রধান লিগ ছেড়ে দেয় না অন্য দেশগুলির ফুটবল ফেডারেশন। ভারতে সেই পথে হেঁটে ঘরোয়া ফুটবলকেই অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে ফেডারেশন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।