ইস্টবেঙ্গলের হারের ধারা অব্যাহত। শুক্রবার প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে টানা পঞ্চম ম্যাচে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দল। এদিনের হারের পর কার্লেস কুয়াদ্রাতের পক্ষে কোচের পদে থাকা কঠিন।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়ে আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছেন আনোয়ার আলি। কিন্তু তাঁকে নিয়ে জটিলতা এখনও কাটেনি।
প্রথমবার আইএসএল-এ খেলার সুযোগ পেয়েই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় ফুটবলের সেরা প্রতিযোগিতায় সাদা-কালো ব্রিগেডের দাপট দেখা যাচ্ছে।
চলতি আইএসএল-এ পরপর দুই ম্যাচে হেরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচের পরেই প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচের পর কোচের বিরুদ্ধে আওয়াজ জোরালো হয়েছে।
মাঠের বাইরে বসে থাকা একজন ফুটবলারের কাছে সবচেয়ে যন্ত্রণার অধ্যায়। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে এই পর্ব পেরোতে হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত মাঠে নামার সুযোগ পেলেন এই ডিফেন্ডার।
ইডেন গার্ডেন্সে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ বা আইপিএল-এর ম্যাচ হলেই হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেন, বাসের ব্যবস্থা করা হয়। আইএসএল-এর ম্যাচের জন্য বিশেষ পরিষেবার ব্যবস্থা করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
আনোয়ার আলিকে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের টানাপোড়েন দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। শেষপর্যন্ত এই টানাপোড়েন শেষ হল। এরপর হয়তো আর নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে না।
আইএসএল-এর ইতিহাসে শনিবারের আগে পর্যন্ত কোনওবারই প্রথম ম্যাচে জয় পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ফলে শনিবার নতুন ইতিহাসের আশায় ছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। কিন্তু দল তাঁদের হতাশ করল।
জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের টানাপোড়েন অব্যাহত। এখন দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপরেই আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
আনোয়ার আলির শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। এই রায় অনুযায়ী, আনোয়ারকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত থাকতে হবে এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে মোট ১২.৯ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।