রবিবার কলকাতা ডার্বি বাতিল হওয়ার পর ডুরান্ড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ম্যাচ ভিনরাজ্যে সরে গিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।
বেজায় সমস্যায় পড়েছে মোহনবাগান। জামশেদপুরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে গিয়ে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন সবুজ মেরুন।
রাতের অন্ধকারে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সব অংশের মানুষ। পথে নেমেছেন ময়দানি জনতা। আর এবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখোমুখি হলেন তিন প্রধানের কর্তারা।
উত্তাল গোটা দেশ, আন্দোলনে মুখর রাজ্য। দাবি একটাই ‘অভয়া’-র বিচার চাই। আর সেই বিচার চেয়ে ফের একবার ফুটবল মাঠে দেখা গেল প্রতিবাদ।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন (Mehtab Hossain)।
এবার উদাহরণ তৈরি হল ফুটবল মাঠের ভিতর। কলকাতা লিগের (Calcutta League) ম্যাচ থেকে সাফ কাপ (SAFF Cup), আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদ ফুটবলারদের।
বিচারের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ ছেলে। তাই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সাঁতরাগাছি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান হটাৎই।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদ করায় কি চাপে রাজ্যের শাসক দল? নেতা-কর্মীদের আচরণ সেটাই বলছে।
আর জি কর (RG KAR) কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন একাধিক মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থক। কিন্তু ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে সেই মিছিলে নেমে এল পুলিশের লাঠি। আর এইমুহূর্তে সামনে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।
রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি গ্রেফতার হওয়া সমর্থকদের মুক্তির ব্যবস্থাও করেন।