বিচারের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ ছেলে। তাই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সাঁতরাগাছি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান হটাৎই।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদ করায় কি চাপে রাজ্যের শাসক দল? নেতা-কর্মীদের আচরণ সেটাই বলছে।
আর জি কর (RG KAR) কাণ্ডের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন একাধিক মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থক। কিন্তু ‘তিলোত্তমা’-র বিচারের দাবিতে সেই মিছিলে নেমে এল পুলিশের লাঠি। আর এইমুহূর্তে সামনে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য।
রবিবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। তিনি গ্রেফতার হওয়া সমর্থকদের মুক্তির ব্যবস্থাও করেন।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরেও প্রতিবাদের সুর শোনা যাচ্ছে। দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
রবিবারের কল্লোলিনী যেন ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিল। সুবিচারের দাবিতে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হলেন মোহন-ইস্ট সমর্থকরা।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। রবিবার বিকেল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস কার্যত ফুটবলপ্রেমীদের দখলে থাকল।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাস্তায় নামলেন মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বোস।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একসঙ্গে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির বিচারের দাবিতে একজোট।
মাঠপ্রেমী মানুষদের উপর নেমে এল পুলিশের লাঠি। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান সমর্থকদের উপর নেমে এলে র্যাফের আক্রমণ। বিচার চাইতে গিয়ে মার খেলেন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। টেনে-হিঁচড়ে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে।